চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে ৭ বখাটে যুবক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৭ ধর্ষকের মধ্যে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে সাভারের আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড় এলাকায় এই গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষকদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- জাফর কাজী (২২), নাজমুল হোসেন(২০), শহিদুল ইসলাম(৪৪), রহম আলী (২০), আমির হোসেন(৩২)। আটককৃত ৫ ধর্ষকই আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা।
ধর্ষিতা গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গোহাইলবাড়ি মেশিনপাড় এলাকার বেঙ্গল গ্রুপের ডিজাইনার ফ্যাশন লিঃ এর পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়ার কথা বলে ধর্ষিতা গৃহবধূকে প্রলোভন দেখায় ঝুট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদ ও জাফর কাজী। পরে ওই গৃহবধূকে সোমবার সন্ধ্যার পর তাদের বাসায় কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলে। কথা অনুযায়ী ওই গৃহবধূ কাগজপত্র নিয়ে শহিদুল ইসলামের কাছে যায়।
পরে রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে নিয়ে কৌশলে নির্জন দিঘীরপাড়ে যায় শহিদুল। এখানে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ৭ বখাটে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়লে ধর্ষক বখাটেরা তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে জ্ঞান ফিরলে, ধর্ষিতা গৃহবধূ বাসায় গিয়ে তার স্বামীকে নির্যাতনের কথা জানায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই আশুলিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দিপু বলেন, ধর্ষিতা গৃহবধূর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে ৫ অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
তিনি আরো বলেন, গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।