এবার ভারতের সাবমেরিনকে ধাওয়া পাকিস্তানের

পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, সোমবার রাতে পাকিস্তানের জলসীমায় একটি ভারতীয় সাবমেরিন ঢুকে পড়েছিল। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এমন দাবি করা হয়। তবে এ নিয়ে ভারতের নৌবাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

ভারতের পক্ষ থেকে বিমান হামলা শুরু করার ঠিক এক সপ্তাহ পর ভারতের পক্ষ থেকে নতুন এই পদক্ষেপ দেখা গেল। এই এক সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যেমন অনেক বেড়েছে, তেমনি আবার প্রশমিতও হয়েছে। শান্তির পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তান কোনো শর্ত ছাড়াই আটক পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টুইটে দাবি করা হয়, ভারতীয় একটি সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়লে পাকিস্তানের নৌবাহিনী তা প্রতিরোধ করে।

ভারতের আধুনিক এই সাবমেরিনটির এভাবে ধরা পড়ে যাওয়াকে ভারতীয়দের জন্য বড় একটি পরাজয় আখ্যা দিয়ে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধরা পড়ার পরও তারা ওই সাবমেরিনটির কোনো ক্ষতি করেননি। তারা জানান, পাকিস্তান সরকারের শান্তি প্রচেষ্টার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আশা করা হয়, ভারত হয়তো এ থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তির পথে পদক্ষেপ নেবে।

তবে ওই টুইটে সাবমেরিনটির ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। পাকিস্তানের নৌবাহিনী সাবমেরিনটির কিছু ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করে।

পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরো বলা হয়, ভারতীয় সাবমেরিনটিকে ধরে ফেলা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জন্য বড় একটি অর্জন। এই বাহিনী পাকিস্তানের নৌসীমা রক্ষায় সক্ষম। শত্রুর যে কোনো হামলা ঠেকাতে তারা যথেষ্ট।

ভারত সরকার বা নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে নৌবাহিনীর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে দাবি করেছে, পাকিস্তানের এই দাবি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

চূড়ান্ত কিছু বলা না হলেও, তারা প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, ২০১৬ সালের ভিডিও দেখিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, স্বার্থসিদ্ধির জন্য পাকিস্তান এই দাবি করতে পারে।

এর আগে ২০১৬ সালেও একবার ভারতের সাবমেরিন পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। কিন্তু সেবারেও পাকিস্তানের নৌবাহিনীর চোখে তারা ধরা পড়ে যায়।

১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪৪ সদস্য নিহত হয়। ভারত এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করতে থাকে। পাকিস্তান এর জবাবে শান্তির বার্তা দিতে চাইলেও ভারত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেয়। পরদিন পাকিস্তান এর জবাবে ভারতে হামলা চালায়। এর ভারত আবারো পাকিস্তানে হামলা চালাতে এলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর হামলায় দুটি মিগ -২১ বিধ্বস্ত হয় এবং একজন পাইলট বন্দি হন।

সূত্র : ডন

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top