বান্দরবানে বোমাং সার্কেলের রাজ পূণ্যাহ উৎসৎকে সামনে রেখে মৌজায় মৌজায় চলছে জুম খাজনা আদয়ের অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার সকালে শহরের মধ্যম পাড়ায় রোয়াংছড়ি তারাছা মৌজার হেডম্যান কার্যালয়ে প্রজাদের কাছ থেকে জুম খাজনা আদায়ের অুনষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মৌজা প্রধান উনিহ্লা মারমা প্রজাদের কাছ থেকে জুম খাজনা আদায় করেন।
প্রত্যেক জুমিয়াদের কাছ থেকে একর প্রতি জুম খাজনা ৬ টাকা ৭৫ পয়সা ও নানা উঢৌকন নেন মৌজা প্রধান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার পাড়া প্রধান কার্বারীদের কাছ থেকে এক বোতল কাঞ্জি (স্থানিয় ভাবে তৈরী পাহাড়ি মদ), মুরগি ও নজরানা হিসেবে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হয়।
এতে মৌজার ১৩টি পাড়ার কার্বারী (গ্রামপ্রধান) উপস্থিত ছিলেন। বোমায় সার্কেলে রাজ পূণ্যাহর মত শত বছর ধরে খজনা আদাাদের এই রীতি চলে আসছে।
মৌজার বাসিন্দা ও পাড়া প্রধানদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এই খাজনা আবার বোমাং রাজা বা সার্কেল চিফ-এর কাছে হস্তান্তর করবেন হেডম্যানরা। আগামী ৮ মার্চ রাজ পূণ্যাহ্ উৎসবে এই খাজানাগুলো রাজাকে প্রদান করবেন হেডম্যানরা।
আগামী ৮ মার্চ শুক্রবারে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে বসবে তিন দিনব্যাপী ১৪১ তম ঐতিবাহী রাজপূণ্যাহ উৎসব। উৎসবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্র্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি অতিথি থাকার কথা রয়েছে।
বোমাং সার্কেলে ১৮৭৫ সাল থেকে বোমাং সার্কেলে এই রাজ পূণ্যাহ্ উৎসব হয়ে আসছে।