সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে এবং সেখানকার ডাক্তাররা তার বাইপাস সার্জারির চিন্তাভাবনা করছেন বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশের চিকিৎসক প্রফেসর ডা: আবু নাসের রিজভী।
ঢাকা থেকে ওবায়দুল কাদেরের সাথে যাওয়া ডা: নাসের রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের কিডনিতে কিছু সমস্যা ও ইনফেকশন থাকায় সার্জারিতে কিছু সময় লাগতে পারে।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. ফিলিপ কোহর নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল বোর্ড ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা দেখভাল করছে। ডিপার্টমেন্টটির প্রধান আজ মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং এ বিষয়ে ব্রিফ করেছেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের ব্রিফিং অনুসারে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন আবু নাসের রিজভী।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড ওবায়দুল কাদেরকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
কিডনিতে কিছু সমস্যা ও ইনফেকশনের কথা জানিয়ে তারা বলেছেন, এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এলেই বাইপাস সার্জারির কথা চিন্তা করছেন তারা।
মেডিক্যাল বোর্ড বুধবার দুপুরে চিকিৎসার বিষয়ে ব্রিফ করবেন বলেন জানান নাসের রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সড়ক ও হাইওয়ে বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলাল হোসেন আজ মঙ্গলবার জানান, সকালে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের এ উন্নতির কথা জানান।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে মেডিকেল বোর্ড ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বলে জানান তিনি।
বেলাল হোসেন আরো বলেন, আজ একটি সিটি স্ক্যান করা হবে। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে সোমবার বিকালে হৃদরোগে আক্রান্ত ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
গত রোববার সকালে শ্বাসক্রীয়ার জটিলতা নিয়ে বিএসএমএমইউ’র করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন কাদের। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর এনজিওগ্রাম করে তার করোনারি ধমনীতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা।