ভারতের একটা সময় ছিল যখন কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকাররা কিন্তু দেশের প্রয়োজনে কংগ্রেস সরকারের বার্তা আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরে যেতেন পার্লামেন্টের তৎকালীন সবচেয়ে ভালো বক্তা এবং বিরোধী দলের মুখ অটলবিহারী বাজপেয়ী। জাতীয় ইস্যুতে দেশের শাসক ও বিরোধী দলের এক হয়ে লড়াইয়ের ইতিহাস এখন অতীত। এখন ভারত নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখে, তা সে যতই তাতে দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হোক না কেন!
কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জইশ-ই-মহাম্মদের আত্মঘাতী হামলাতে ৮০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ যখন এই ঘটায় ভারতের পাশে তখনই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণের সঠিক সময় খুঁজে পেয়েছেন বাংলা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরা। পুলওয়ামাতে হামলার পর জইশ-ই-মহাম্মদ দায় স্বীকার করলেও পাকিস্তানকে এর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পথেই হেঁটে আরও একধাপ এগিয়ে পুলওয়ামা কাণ্ডের জন্য সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দায় করেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সামনের লোকসভা নির্বাচনে ৩০০ সিট পাওয়ার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী সেনাদের লাশের উপর হাঁটছেন। অর্থাৎ পুলওয়ামার ঘটনার দায় পাকিস্তানের উপর নয় নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপিয়ে ভোট রাজনীতি করতে চাইছেন কেজরিওয়াল। তার এই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সংবাদমাধ্যম জিও টিভি পুলওয়ামা কাণ্ডের দায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপিয়েছে। জিও টিভির প্রচারিত কেজরিওয়ালের ভিডিও ক্লিপসটি খুবই তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের ফেসবুক, টুইটারে ভাইরাল হয়ে যায়।
এই কেজরিওয়ালি ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন দেশের সেনার কাছে। একইভাবে মমতা ও কেজরিওয়াল এবাররও প্রমাণ চাইছেন ২৬ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় বিমান বাহিনীর করা এয়ার স্ট্রাইকের।
বিশেষজ্ঞদের মতে এতে বিশ্বের কাছে ভারত নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে যে সব দেশে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। লোকসভায় সংকীর্ণ ক্ষমতা দখলের জন্য দেশের সুরক্ষা নিয়ে কার্যত খেলছেন ভারতের কিছু রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র : kolkata24x7