শুক্রবারই পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তার পর থেকেই তিনি রয়েছেন দিল্লির সেনা হাসপাতালে। সেখানে তার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে সংবাদসংস্থার খবর, অভিনন্দনের দেহের এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনন্দনের মেরুদণ্ডের নীচের অংশে চোট রয়েছে। পাশাপাশি তার পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে তার শরীরে কোনও ‘বাগ’-এর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই ধরনের ‘বাগ’ বা আড়ি পাতার যন্ত্র পাক সেনা অভিনন্দনের দেহ ঢুকিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন চিকিৎসকরা।
পাকিস্তানের ফাইটার জেটের গুলিতে অভিনন্দনের মিগ ২১ বাইসনে আগুন লেগে যায়। তখনই তিনি আপাতকালীন ‘ইজেক্ট’ করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এই ধরেনর ইজেক্ট-এর ফলে মেরুদণ্ডে আঘাত লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইজেক্ট করার পর পাকিস্তানের মাটিতে নেমে পড়েন অভিনন্দন। সেখানে তাকে ঘিরে ধরে জনতা। শুরু হয় মারধর। এখনও অভিনন্দনের ডান চোখের নীচে তার দাগ রয়েছে। ওই মারধরের ফলেই পাঁজরে আঘাত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেনা হাসপাতালে আগামী ১০ দিন তার বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা ও পরীক্ষা হবে বলে সূত্রের খবর। পাক হেফাজতে থাকাকালীন অভিনন্দনের ওপরে টানা ৬০ ঘণ্টা মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে খবর।
এতে তার ওপর প্রবল চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি সেনা তাকে কী ধরনের জেরা করেছে তাও অনুপুঙ্খভাবে জানার চেষ্টা করবেন বায়ুসেনা গোয়েন্দারা। ফলে আগামী কয়েকদিন তাকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে।