নিহত ভারতীয় জওয়ানের শেষকৃত্যে ব্যাপক উদাসীনতা সরকারি দলের

দলগত উদাসীনতার জেরে নিহত জওয়ানের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকলেন না কোনও মন্ত্রী। চাপে পড়ে টুইটারে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন সংযুক্ত জনতা দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর।

শুক্রবার কাশ্মীরের কুপওয়ারায় উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন বিহারের বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পিন্টু সিং। রোববার বিহারের পাটনা বিমানবন্দরে তার কফিনবন্দি লাশ পৌঁছলে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন না সরকারপক্ষের কোনও বিশেষ প্রতিনিধি। এমনকি নিহতের শেষকৃত্যে শ্মশানে উপস্থিত থাকার সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজনীয়তাও দেখাননি মন্ত্রী বা আমলারা।

বিষয়টি নজরে পড়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এনডিটিভি প্রচারিত সংবাদে নিহতের এক আত্মীয়ের ক্ষোভ প্রকাশ হওয়ার পরে। ভিডিওয়ে সেই আত্মীয়কে বলতে শোনা যায়, ‘যার প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা ছিল, তিনি প্রাণ দিয়েছেন। তার সঙ্গে মন্ত্রীর কোনও লেনদেন নেই। ওদের একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে আমাদের সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি কতটা দায়িত্ববান।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে হইচই শুরু হলে অবশ্য টুইটারে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। তিনি লেখেন, ‘আমাদের তরফে সচেতনতার অভাবের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই শোকের আবহে আমাদের ওখানে গিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল।’

শোনা গেছে, পাটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা থাকার কারণেই মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারসহ মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যই নিহতের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় কন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। ঘটনাস্থলের কাছে স্থানীয় একদল তরুণের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের সংঘর্ষে মারা যান এক সাধারণ নাগরিকও।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top