নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা দিলেই নাটক শেষ : ড. খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে অযথা জনগণের টাকা অপচয় না করে যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই, তাই নৌকার প্রার্থীদের ঘোষণা করে দিলেই নির্বাচনের নাটক শেষ হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ৯০০ কোটি টাকা বাজেট করেছে। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে ৪০০ কোটি টাকা বাজেট ছিল। জনগণের ৯০০ কোটি টাকা খরচের মতো অপচয় দরকার হবে না। বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে খবরটি নেয়া হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ভুলুণ্ঠিত, দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এমনি একটি অবস্থায় দেশ চলছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায়নি। তার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, জনগণ এ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে। এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো রকমের সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, সেটা জনগণ বুঝতে পেরে এর প্রতিবাদে সিটি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে সরকার এতই ভয় পায় যে, মিথ্যা মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের মা কারাগারে সেজন্য দেশে গণতন্ত্র নেই। আজকে বিএনপি, কৃষকদলের ওপরে দায়িত্ব পড়েছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল ভোট ডাকাতির নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা শপথ নেবেন না। এখন যদি গণফোরামের দু’জন শপথ নেয় তাতে ঐক্যফ্রন্টের কোনো অসুবিধা হবে না। কারণ আমরা বৃহৎ লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করেছি।এ বিষয়ে গণফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে।

দু’জনের শপথের মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টে টানাপোড়েন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোশাররফ বলেন, এটা এত আগে বলা যাবে না। আমরা বড় একটা টার্গেট নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করেছি। বিএনপি এই ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ও বৃহৎ দল। অতএব আমি বিশ্বাস করি, গণফোরামের কেউ যদি সংসদে যায়ও তারপরও যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের বৃহৎ একটা লক্ষ্য আছে, সেজন্য ঐক্যফ্রন্টের কোনো অসুবিধা হবে না। এটা গণফোরামের বিষয়, তারা জানাবে।

একজন ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত এ ব্যাপারে বক্তব্য কী? জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যা বিধিবিধান আছে, অবশ্যই সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেখানে উপস্থিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,সরকার বার বার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে অভিযোগ করে দলের আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলছে। এ সরকারতো মানুষের রক্তচোষা সরকার। গ্যাসের দাম বাড়ালে জনগণ সংকটে পড়বে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে গ্যাসের দাম বাড়ানো উচিত হবে না। গ্যাসের দাম বাড়ালে বিএনপি কর্মসূচি দেবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, আলহাজ মো. নাজিমুদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষক দলের সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদী, মো. মাইনুল ইসলাম, নাসির হাজারী, হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু, মো. আলিম হোসেন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top