প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হেফাজতে থাকার পর দেশে ফিরলেও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এখন ভারতীয় বিমান সেনা অভিনন্দন বর্তমানের সামনে। কাশ্মির সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার মধ্যে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ার পর ভূপাতিত হয় উইং কমান্ডার অভিনন্দনের যুদ্ধবিমানটি, তিনিও ধরা পড়েন।
পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির বার্তা দিতে ভারতীয় এই পাইলটকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেন। শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয় এই বিমান সেনাকে। ফিরে আসার পরপরই একটি বিমানে করে রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনন্দনকে। উৎকণ্ঠার প্রহর শেষে অভিনন্দনকে ফেরত পাওয়ার পর ভারতজুড়ে আনন্দের বন্যা বইলেও এই বিমান সেনার সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছে কলকাতার একটি দৈনিক। সংবাদপত্রটি লিখেছে- ১৯৭০ সালে তৈরি পুরনো মিগ-২১ নিয়ে অত্যাধুনিক পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এফ-১৬কে তাড়া করার জন্য প্রশংসা পেলেও শত্রু দেশের হেফাজত থেকে ফেরার পর এখন দফায় দফায় জেরার মধ্য দিয়ে যেতেই হবে তাকে।
ভারতের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অভিনন্দনের বিষয়ে এখন কী কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। তাতে যা বলা হয়েছে- বেশ কিছু ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে অভিনন্দনকে; দেখা হবে তিনি ফিট কি না? বন্দীদের শরীরে অনেক সময় মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হয়, যার মাধ্যমে আড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় শত্রুপক্ষ। অভিনন্দনের শরীরে সে রকম কোনো চিপ বসানো হয়েছে কি না, তা স্ক্যান করে দেখা হবে। মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে। বন্দী থাকাবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য হাতাতে শত্রুপক্ষ তাকে অত্যাচার করেছে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাকিস্তানে কোনো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না দেখা হবে তাও। সূত্র : আনন্দবাজার