পাকিস্তানের জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করে যেভাবে ধরা খেল ৩ ভারতীয় পাইলট

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় বিমান ধ্বংস আর তার পাইলট অভিনন্দন ভর্থমানের আটক হওয়া এবং সবশেষে শুক্রবার রাতে পাকিস্তান থেকে তার দেশে ফেরা – এই নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।

কিন্তু ৪৭ বছর আগে অনেকটা একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আরো এক ভারতীয় পাইলটের। তিনি স্কোয়াড্রন লিডার ধীরেন্দ্র জাফা।

১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে তার বিমানটি গুলি করে নামায় পাকিস্তানি বাহিনী।

তার পরের কয়েক মাস তিনি এবং তার আরো কয়েকজন সতীর্থ পাকিস্তানের জেলে কাটিয়েছেন, কয়েকজন জেল থেকে পালিয়ে গেছেন, তারপর ধরাও পরেছেন আবার শেষমেশ সেই ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন, যে সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে শুক্রবার রাতে ভারতে ফিরেছেন অভিনন্দন ভর্থমান।

পেছনে ফিরে দেখা…
‘রেড ওয়ান, ইউ আর অন ফায়ার’… স্কোয়াড্রন লিডার ধীরেন্দ্র জাফার হেডফোনে কাছাকাছি থাকা আরেকটি যুদ্ধবিমান থেকে ভেসে এসেছিল সঙ্গী পাইলট ফর্ডীর চিৎকার।

আরেক পাইলট মোহনও চেঁচাচ্ছেন তখন, “বেল আউট রেড ওয়ান, বেল আউট।”

“জেফ স্যার, ইউ আর অন ফায়ার, গেট আউট.. ফর গড সেক, বেল আউট,” সঙ্গী পাইলট জগ্গু সাকলানীও সতর্ক করছেন স্কোয়াড্রন লিডার জাফাকে।

জাফা ততক্ষণে তার সুখয় যুদ্ধবিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। আগুন পৌঁছে গেছে ককপিটে। ‘ইজেক্ট’ হাতলে টান দিলেন জাফা আর মুহূর্তেই হাওয়ায় উড়ে গেলেন তিনি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্যারাসুট খুলে গেল, নিচের দিকে নামতে শুরু করলেন ওই পাইলট।

তার প্যারাসুট মাটি ছুঁতেই কানে এলো নারা-এ-তকবির আর আল্লাহু আকবর ধ্বনি। গ্রাম থেকে কয়েক শ’ লোক ঘিরে ফেলেছে ওই পাইলটকে। তারা কেউ হাতের দস্তানা খুলে নিচ্ছে, কেউ পকেট থেকে ২০০ পাকিস্তানি টাকা নিয়ে নিয়েছেন, একজন গলার মাফলারও খুলে নিল। কেউ একজন বুট ধরে টানছিল, সেই সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য সেখানে পৌঁছে যান।

ভিড় থেকে কোনোমতে তাকে বাঁচানোর পর একজন লম্বা-চওড়া পাকিস্তানি অফিসার জানতে চেয়েছিলেন, তোমার কাছে কোনো অস্ত্র আছে? তিনি বলেছিলেন রিভলভার ছিল, কিন্তু মনে হয় ভিড়ের মধ্যে কেউ সেটা ছিনিয়ে নিয়েছে।

পশতু ভাষায় ওই অফিসার দুজন সৈন্যকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জাফাকে তুলে শিবিরে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়াতে।

হাতে চোট লেগেছিল ধীরেন্দ্র জাফার। চায়ের কাপটাও ধরতে পারছিলেন না ভালমতো। একজন পাকিস্তানি সেনা চামচে করে তাকে চা খাইয়ে দিয়েছিলেন।

হাসপাতালে জাফার কোমরে প্লাস্টার করার পরে তাকে যুদ্ধবন্দীদের শিবিরে পাঠানো হয়েছিল।

সেখানে রোজ জেরা চলত তার। যখন টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হতো, তখন বালিশের ঢাকনা পরিয়ে দেয়া হতো তার মাথায়, যাতে চার দিকে কী আছে সেটা দেখতে না পান তিনি।

একদিন ওই ভবনটিরই অন্য একটি ঘরের দিকে নিয়ে যাওয়া হলো তাকে।

রক্ষীরা যখন তাকে একটা সেলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, বাইরে থেকেই লোকজনের কথাবার্তার আওয়াজ আসছিল। কিন্তু যেই সেলের ভেতরে তাকে ঢোকানো হলো, সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘরটা নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।

হঠাৎই কেউ একজন বলে উঠেছিল, ‘আরে, জেফ স্যার…’! কথাটা বলেই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট দিলীপ পারুলকর জড়িয়ে ধরেছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার ধীরেন্দ্র জাফাকে। সেখানে আরও দশজন যুদ্ধবন্দী ভারতীয় পাইলট ছিলেন।

অনেকদিন পরে নিজের দেশের, নিজের বাহিনীর সঙ্গীদের দেখা পেয়ে চোখে পানি চলে এসেছিল ধীরেন্দ্র জাফার।

ঠিক তখনই যুদ্ধবন্দীদের ওই শিবিরের ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার উসমান হানিফ মুখে এক টুকরো হাসি নিয়ে ওই ঘরে ঢুকেছিলেন।

পেছনে আর্দালির হাতে একটা কেক আর সকলের জন্য চা ছিল। ভারতীয় বাহিনীর কয়েকজন যুদ্ধবন্দী খ্রিস্টান ছিলেন, আর তখন ছিল ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

তাই ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাতেই পাকিস্তানি বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হানিফ কেক আর চা আনিয়েছিলেন তাদের জন্যে।

হাসি মস্করায় কেটে গিয়েছিল সন্ধ্যেটা।

পালানোর ছক
কিন্তু যখন সবাইকে নিজের নিজের সেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তার আগে ওই যুদ্ধবন্দীদের দলে সবচেয়ে সিনিয়র ভারতীয় অফিসার উইং কমান্ডার বনি কোয়েলহো ঘোষণা করেন যুদ্ধে নিহত সহযোদ্ধাদের স্মরণে দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হবে, আর তার পরে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে।

যুদ্ধের আগেই দিলীপ পারুলকর তার সিনিয়র অফিসারদের বলেছিলেন যে যুদ্ধবন্দী করা হলে তিনি চেষ্টা করবেন পাকিস্তানের জেল থেকে পালাতে। অফিসাররা বলেছিলেন, “ওসব বোকামি করো না।” কিন্তু সেটাই করেছিলেন পারুলকর।

আরো দুই যুদ্ধবন্দী পাইলট – ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মালভিন্দর সিং গারেওয়াল আর হরিশ সিংজীর সঙ্গে মিলে পারুলকর পাকিস্তানি জেল থেকে পালানোর ছক কেটে ফেলেন।

দেয়ালে একটা গর্ত করে সেলের বাইরে যাওয়ার কথা ঠিক করেন। সেখান থেকে একটা ৬ ফুটের দেয়াল টপকাতে পারলেই রাস্তায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।

যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে কেউ ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর স্ক্রুডাইভার চুরি করলেন, আরেকজন যোগাড় করলেন কোকা কোলার বোতলের ছিপিতে ফুটো করার একটা ধারালো লোহার টুকরো।

রাত দশটার পরে দিলীপ পারুলকর আর গারেওয়াল দেয়ালের প্লাস্টার খুঁচিয়ে তুলে ফেলার শুরু করলেন। ওই ঘরে চারজন যুদ্ধবন্দী থাকতেন। একটা সমস্যা ছিল ওই প্লাস্টার কীভাবে লুকিয়ে রাখা হবে।

কিছু দিন আগে যুদ্ধবন্দীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস ছোট ছোট বাক্সতে ভরে নিয়ে এসেছিল রেডক্রস। ওই বাক্সের মধ্যেই তারা ভর্তি করে রাখতে থাকল খসানো প্লাস্টার।

দুজন নজর রাখত গার্ডরা আসছে কিনা সেদিকে আর দুজন প্লাস্টার খসাতো। ট্রানজিস্টার রেডিওর আওয়াজ বাড়িয়ে দেয়া হতো, যাতে দেয়াল খোঁড়ার শব্দ কেউ না পায়।

এক পাকিস্তানি গার্ড সেলাইয়ের কাজ জানে, এটা শোনার পর তাকে দিয়ে একটা পাঠান সুট বানালেন পারুলকর।

আরেক যুদ্ধবন্দী কামাথ ব্যাটারি দিয়ে একটা সুচকে চুম্বকে পরিণত করে কাজ চালানোর মতো একটা কম্পাস বানিয়ে দিলেন। পোশাক আর কম্পাসটা বাইরে যাওয়ার পরে খুব কাজে লাগবে।

যেদিন পালানো হবে
১৪ অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সবাই মিলে ঠিক করে যে ওই দিন গার্ডরা ছুটির মুডে থাকবে। সেদিনই পালানো হবে।

১২ অগাস্ট রাতে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হলো, বাজও পড়ছিল। সেই রাতেই প্লাস্টারের শেষ অংশটা সরিয়ে ফেলা হলো। দুদিন পরে ওই গর্ত দিয়েই এক এক করে তিনজন বেরিয়ে গেলেন।

দেয়ালের ওপারে লোকজন চলাফেরার আওয়াজ আসছিল। সিনেমার নাইট শো শেষ হয়েছিল তখন।

ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বাইরে যে গার্ড ছিল সে দৌড়ে চলে যায় একটু আড়ালে, আর ঠিক সেই সময়েই লাফিয়ে পাচিল টপকিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন তিন ভারতীয় যুদ্ধবন্দী পাইলট।

মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে দ্রুত পা চালাতে শুরু করেন তিনজন। কিছুক্ষণ পরে তারা যখন বাস-স্ট্যান্ডে পৌঁছান, একজন কন্ডাক্টর চেঁচাচ্ছিল, ‘পেশোয়ার, পেশোয়ার’ বলে। তিনজনেই লাফিয়ে বাসে উঠে বসেন।

ভোর ছ’টা নাগাদ তারা পেশোয়ার পৌঁছান। বাস-স্ট্যান্ড থেকে একটা টাঙা ভাড়া করে জমরুদ রোডে যান তারা। তারপরে হাঁটতে শুরু করেন। আরও একটা বাসের ছাঁদে উঠে পরেন তিনজন।

জামরুদে পৌঁছানোর আগে রাস্তার ধারে একটা সাইনবোর্ড চোখে পড়ে, যাতে লেখা ছিল ‘আপনি উপজাতীয় এলাকায় প্রবেশ করছেন।” আগুন্তকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে “আপনারা সড়ক ছেড়ে অন্যদিকে যাবেন না আর নারীদের ছবি তুলবেন না।’

আরেকটা বাসে চেপে তারা লোন্ডী কোটাল পৌঁছান। সেখান থেকে আফগানিস্তান সীমান্ত মাত্র পাঁচ কিলোমিটার।

একটা চায়ের দোকানে বসে চা খেতে খেতে গারেওয়াল লন্ডীখানা কীভাবে যেতে হবে, সেটা জেনে নিচ্ছিলেন।

আর দিলীপ পারুলকর লক্ষ্য করলেন স্থানীয় মানুষদের সকলের মাথাতেই একটা না একটা কিছু ঢাকা দেয়া আছে। হরিশসিংজীর মাথায় টাক ছিল। তাই পারুলকর দুটি পেশাওয়ারি টুপি কিনলেন।

কিন্তু গারেওয়ালের মাথায় সেই টুপিটা ঠিক মতো লাগছিল না, তাই পারুলকর আবারও সেই দোকানে ফিরে গিয়েছিলেন।

কী পরিচয় দেবেন নিজেদের
একটা ট্যাক্সিওয়ালা চিৎকার করে লোক ডাকছিল, ‘কারা লোন্ডিখানা যাবে চলে এসো।’

তিন ভারতীয় পাইলট যখন ওই ট্যাক্সিটার দিকে এগোতে যাবেন, ঠিক সেই সময়ে পিছন থেকে একজন কেউ ডাকল ওদের।

এক বয়স্ক ব্যক্তি জানতে চাইছিলেন, ‘আপনারা লোন্ডিখানা যাবেন? কোথা থেকে এসেছেন?’

তারা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে তারা নিজেদেরকে পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দেবেন, বলবেন তারা পুরনো বন্ধু। লাহোরের হোটেলে দেখা হয়ে যাওয়ার পরে একটু ঘুরতে বেরিয়েছেন।

সেই গল্পটাই শোনালেন তখন। কিন্তু এবার বেশ কড়া গলায় ওই প্রৌঢ় বললেন, “লোন্ডিখানা বলে কোনো জায়গা তো এখানে নেই আর। ইংরেজরা চলে যাওয়ার পরেই ওই জায়গাটা শেষ হয়ে গেছে!”

তার বোধ হয় সন্দেহ হয়েছিল এরা তিনজনই বাঙালি। আফগানিস্তান হয়ে বাংলাদেশ চলে যেতে চাইছে।

গারেওয়াল হেসে জবাব দিয়েছিলেন, “আমাদের দেখে কী বাঙালি মনে হচ্ছে আপনার? জীবনে কখনো বাঙালি দেখেছেন?”

তবে ওই ব্যক্তি এদের কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে এলাকার তহসিলদারকে ডেকে আনলেন। সেও এদের কথায় বিশ্বাস করতে পারল না।

হঠাৎই পারুলকর বলেন যে পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর প্রধানের এডিসি স্কোয়াড্রন লিডার উসমানের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি।

এই উসমান হলেন সেই রাওয়ালপিন্ডির যুদ্ধবন্দীদের শিবিরের ইনচার্জ।

ফোন করা হলো। পারুলকর বললেন, “আপনি তো খবর পেয়েই গেছেন। আমরা লোন্ডিকোটালে আছি। এখানকার তহসিলদার আটকিয়ে রেখেছে। আপনি লোক পাঠাতে পারবেন?”

উসমান মুহূর্তে বুঝে গেলেন তার শিবির থেকে পালানো যুদ্ধবন্দীরাই ফোন করেছে।

তিনি তহসিলদারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। তাকে বললেন, “এদের একটু খাতির-টাতির করুন। আমাদেরই লোক। আপনাদের কাছেই রাখুন। লোক যাচ্ছে।”

বন্দী শিবিরে হৈ চৈ
ওদিকে রাওয়ালপিন্ডির বন্দীশিবিরে ততক্ষণে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে। রক্ষীরা ভয়ে কাঁপছে। তাদের গাফিলতিতেই যে তিনজন পালিয়েছে!

ধীরেন্দ্র জাফা বলছিলেন, “কয়েকজন গার্ড আলোচনা করছিল নিজেদের মধ্যে যে জাফাই বোধহয় এটার মাথা। একেও ওই গর্তে ঢুকিয়ে পেছন থেকে গুলি করে দিই। মনে হবে তিনজন পালাতে পেরেছে আরেকজনকে গুলি করে দিয়েছি আমরা।”

এই আলোচনা যখন চলছে, তখনই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন আসে গার্ড রুমে। একজন গার্ড ফোনে কথা বলতে গিয়ে বলে ফেলেন যে তিনজন পালিয়েছে।

পারুলকর বুঝতে পারেন তিনি বেঁচে গেলেন সেই যাত্রায়।

এরপরে যুদ্ধবন্দীদের আরো কড়া নিরাপত্তায় মোড়া লায়লপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিমানবাহিনী ছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধবন্দীরাও ছিলেন।

হঠাৎই একদিন জেলে হাজির হলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো। তিনি বললেন, সব যুদ্ধবন্দীদের ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

১৯৭২ সালের পয়লা ডিসেম্বর সব ভারতীয় যুদ্ধবন্দীকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হলো।

সেই সময়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী গিয়ানী জৈল সিং, যিনি পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, তিনি স্বয়ং যুদ্ধবন্দীদের স্বাগত জানাতে সীমান্তে হাজির হয়েছিলেন।

হাজার হাজার মানুষ সেদিন ফুল ছিটিয়ে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের।

পরের দিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে গণ-সম্বর্ধনা দেওয়া হয় পাকিস্তান ফেরত সব যুদ্ধবন্দীকে।

বন্দী থাকার এক বছরে যে বেতন পেয়েছিলেন গারেওয়াল, তার থেকে ২৪০০ টাকা দিয়ে একটা ফিয়াট গাড়ি কিনেছিলেন তিনি।

দিলীপ পারুলকর বিমানবাহিনীর প্রধানকে উপহার দিয়েছিলেন পেনের মতো দেখতে সেই কম্পাসটা। আর ভারতে ফেরত আসার পাঁচ মাস পরে তার বিয়ে ঠিক হয়।

পাকিস্তানি জেলে সঙ্গী যুদ্ধবন্দী স্কোয়াড্রন লিডার এ বি কামাথ তাকে টেলিগ্রাম করেছিলেন বিয়ের দিন। লিখেছিলেন, “এই মিষ্টি বন্দিত্ব থেকে তোমার মুক্তি হবে না।”
সূত্র : বিবিসি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top