আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, সকালে ফজরের নামাজ শেষ হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার চেকআপ করেন। চেকআপ শেষে তাকে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের এনজিওগ্রাম করা হচ্ছে।
বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে ওবায়দুল কাদের ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২৩ জুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পরে তাকে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯ সালের সম্মেলন পর্যন্ত কাদের আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ১/১১ পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৯ মার্চ জরুরি বিধিতে গ্রেপ্তার হয়ে ১৭ মাস ২৬ দিন জেলে ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালে দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
২০১৬ ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে কাদের ২০১৬-২০১৯ মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী হিবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কিছুদিনের জন্য রেলমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।