চীন কোনো দিনই ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে মনে করেনি। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং এমনটাই জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠকের ব্যাপারে বলতে গিয়ে লু কাং একথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়াকে তারা ভারত এবং পাকিস্তানের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে মনে করেন কি না। তার উত্তরেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত এবং পাকিস্তানকে তারা কোনোদিনই পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে মনেই করেননি। এবং এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান কখনওই বদলাবে না বলেও তিনি জানিয়ে দেন।
বিশ্বের ৪৮ সদস্যের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ তথা এনএসজিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারত বেশ কয়েকবার আবেদন করলেও চীন তাতে বাধ সেধেছে। চীনের মতে, পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে হলে আগে ভারতকে নিউক্লিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (এনপিটি)-তে সাক্ষর করতে হবে। সেটা না করে ভারত বা পাকিস্তান নিজেদের পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে দাবি করতে পারবে না।
নিরাপত্তা পরিষদে ভেনিজুয়েলাবিষয়ক প্রস্তাবে চীন- রাশিয়ার ভেটো
রয়টার্স
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ভেনিজুয়েলাবিষয়ক একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। ওই প্রস্তাবে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির চলমান অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে আগাম নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
প্রস্তাবটির প্রতি স্বাভাবিকভাবেই ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো সমর্থন জানালেও নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্যের বিরোধিতার কারণে তা পাস হতে পারেনি। প্রস্তাবটির খসড়ায় ভেনিজুয়েলার প্রতি ‘শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রত্যাবর্তনের’ আহ্বান জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটির খসড়ায় ভেনিজুয়েলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণসহায়তা নির্বিঘেœ প্রবেশ করতে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরে ওই ত্রাণ তার দেশে প্রবেশ করতে দেবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ত্রাণের বহর প্রতিবেশী ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমান্তে আটকে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জ্বালাও-পোড়াওয়ের কিছু ছবি তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ অ্যারিজা।
প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রতি সমর্থন ঘোষণাকারী রাশিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গুইদো ও তার সমর্থকদের কাছে অস্ত্র পাঠানো এবং দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্য কথিত ত্রাণ বহর পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পক্ষ থেকেও ভেনিজুয়েলাবিষয়ক একটি প্রস্তাবের খসড়া উত্থাপিত হয়েছিল এবং সেটিও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে পাস হতে পারেনি। ওই প্রস্তাবে ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বল প্রয়োগের হুমকির নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করা হয়েছিল।