বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে এগিয়ে যায়।
পরে স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদুর এগিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আইন, বিচার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে। গণমাধ্যমকে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কব্জায় রাখার চেষ্টা করছে। সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে বলেই আমাদেরকে রাজপথেই অবস্থান নিতে হবে। মিডনাইট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।
তিনি বলেন, নির্দোষ বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গায়ের জোরে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। মানুষ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সকল মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথই আমাদের একমাত্র ঠিকানা। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজপথেই গণতান্ত্রিক শক্তির উদ্বেল অভিযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া গণতন্ত্রের মুক্তি আসবে না, দেশের জনগণ চিরদিনের জন্য তাদের নাগরিক স্বাধীনতা হারাবে।
রিজভী বলেন, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন এখন আরো নিষ্ঠুর চেহারা নিয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। দেশবাসীর জীবন ও নিরাপত্তা এখন গভীর সঙ্কটাপন্ন। সাধারণ মানুষ গুমের ভয়ে, বিচার বহির্ভূত হত্যার ভয়ে, গায়েবী মামলার ভয়ে শঙ্কা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি চলতে দেয়া যায় না। বিদ্যমান অন্ধকার অমানিষার অবসান ঘটাতে হবে। এজন্যই সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে।
মিছিলে ঢাকা মহানগর যুবদল, ছাত্রদল ও মৎস্যজীবী দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান দেন।