পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া ও একজন পাইলট আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই পদে এয়ার মার্শাল সি হরিকুমারের বদলে ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড চিফ এয়ার মার্শাল রঘুনাথ নামবিয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার পাকিস্তান বাহিনী দারুণ দক্ষতায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি জঙ্গি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করা ও একজন পাইলটকে গ্রেফতার করার পর এই পরিবর্তন আনা হলো।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের সদরদফতর নয়া দিল্লিতে। এখান থেকে উত্তরে রাজস্থানের বিকানের থেকে সিয়াচেন গ্লাসিয়ার পর্যন্ত ভারতীয় আকাশসীমার প্রায় ৪০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
হরিকুমারকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়োগ করা হয়েছিল।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এয়ার মার্শাল হরিকুমার অবসর গ্রহণ করেছেন।
কত শত্রু মারা গেছে হিসাব চান মমতা
যুদ্ধের আবহ যখন পুরো উপমহাদেশে তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘রাজনীতির প্রয়োজনে আর একটা নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’
পুলওয়ামায় আত্মঘাতি হামলার পর ভাতের সর্বত্র যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবার সরাসরি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রথমদিন থেকেই শুনছি, শত্রুপক্ষের ৩০০-৩৫০ লোক মারা গিয়েছেন। কত কী, আদৌ কেউ মারা গিয়েছেন কি না, আমরা জানতে চাই। আরও জানতে চাই, বোমা কোথায় ফেলা হয়েছিল, আদৌ বোমা ঠিক জায়গায় পৌঁছেছিল কি না।’
এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘তারা বলছে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বোমাটা অন্য জায়গায় পড়েছে, মিস হয়েছে। মানুষ মারা যায়নি। কেউ বলছে একজন মারা গিয়েছেন। তো সত্যটি কী, এটা তো মানুষ জানতে চাইতেই পারে। আমরা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু বাহিনীকে সত্যি কথাটা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। দেশের লোকেরও সত্যিটা জানা উচিত।’
বুধবারই দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির সথে বৈঠক করেছেন মমতা। সেখানেও তিনি জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতি’ করার জন্য আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। এ দিনও তার অভিযোগ, পুলওয়ামার ঘটনা এবং তার পরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাত, কোনও কিছু নিয়েই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি।
মমতা বলেন, ‘দেশের পক্ষে আমরা সবাই। দেশমাতৃকাকে আমরা সবাই ভালবাসি। জওয়ানদের রক্তে রাজনীতি করা আমরা ভালবাসি না। জওয়ানদের রক্তের দাম অনেক বেশি। তারা আমাদের গর্ব। তারা সীমান্তে লড়াই করেন। কিন্তু ভোট বাক্সে ভোটের ফায়দা তোলার জন্য তাদের নিয়ে রাজনীতি করে কেউ কেউ। এটার নিন্দা করি।’
তার বক্তব্য, ‘রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। দেশের প্রয়োজনে হলে আমরা দেশের সঙ্গে রয়েছি।’