প্রজ্বলিত ভূস্বর্গ কাশ্মির

কাশ্মিরকে ভূস্বর্গ বা দুনিয়ার জান্নাত বলা হয়। কয়েক দশক ধরে এই ‘জান্নাত’ জ্বলছে, রক্ত ঝরছে সাধারণ মানুষের। তার খবর আমরা খুব কমই রাখি। কাশ্মিরের হজরত বাল মসজিদ সারা দুনিয়ার মুসলমানদের আকর্ষণ করে; ডাল লেক সারা পৃথিবীর পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।

কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। কাশ্মিরি জনগণ স্বাধিকারের জন্য আন্দোলনে রয়েছে। এমনকি ডিগ্রিধারী অনেকেই অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। কাশ্মিরি জনগণের যেন ‘মানবাধিকার’ বলে কিছু নেই। বিশ্বশক্তি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো কাশ্মিরিদের দুদর্শার জন্য চিন্তিত নয়। এমনকি বিগত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে জাতিসঙ্ঘের কজ লিস্ট থেকে কাশ্মির ইস্যু বাদ দেয়া হয়েছিল। অথচ দশকের পর দশক ধরে উপমহাদেশের মুসলমানেরা জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতা ও নিষ্পত্তির আশায় চেয়ে আছে। জাতিসঙ্ঘই একসময় গণভোটে কাশ্মির সমস্যার সমাধানের জন্য রায় দিয়েছিল। ভারত সেটা মেনেও মানেনি আজ পর্যন্ত। তবুও জাতিসঙ্ঘ এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তাহলে জাতিসঙ্ঘ কি কোটারি স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে? কাশ্মিরে ইস্যু কেবল পাকিস্তান ও ভারতের সমস্যা নয়। এ সমস্যার জনক কে? কেন এত রক্ত ঝরছে? বলিষ্ঠ পদক্ষেপ না নিলে এ সমস্যা চলতেই থাকবে আর মানুষ মরতেই থাকবে। দুনিয়ার বেহেশতে বইতে থাকবে রক্তের বন্যা। সেখানে অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, বেকার সমস্যা বাড়ছে। ভারত কি এর কোনো যুতসই সমাধান দেবে? পণ্ডিতরা বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ শেষ করতে। কিন্তু সেভাবে হায়দরাবাদ ও জুনাগড়ের সমস্যার সমাধান হয়নি; হয়নি রান অব কচ্ছের। ফিলিপাইনে মিন্দানাওয়ের মুসলমানেরা আলোচনার মাধ্যমে স্বাধিকার পায়নি। কাশ্মিরেও পাবে বলে মনে হচ্ছে না।

এনডিটিভি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দশ হাজারেরও বেশি কাশ্মিরি মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করেছে সেনা ও পুলিশ বাহিনী। ১৯৮৯ সাল থেকে এক লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ৩৮ জন মারা গেছে কারাগারে। ২৩ হাজার মহিলা বিধবা হয়েছে এবং দশ লাখ আট হাজার শিশু এতিম। কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছে আট হাজার নাগরিক। এই হিসাব দুই বছরের পুরনো। ১৯৫৩ সালে গণভোট আদায়ের আন্দোলনেও হাজার হাজার কাশ্মিরি গ্রেফতার, গুম, খুন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিল। সে ধারা চলে আসছে। কাশ্মিরি জনগণ তাই এখন মারমুখো।

১৯৪৭-এ পাকভারতের স্বাধীনতার সময়ের মতোই পুরনো ইস্যু কাশ্মির সমস্যা। সহিংস আন্দোলন শুরু হয় অনেক পরে, আশি ও নব্বইয়ের দশকে। একসময় পাকিস্তানের রাস্তাঘাট ‘কাশ্মির চলো’ পোস্টারে ছেয়ে যায়। তখন ‘জিহাদি’ দলগুলো কাশ্মিরের স্বাধীনতার জন্য জম্মু ও কাশ্মিরে লড়াই করার ডাক দেয়। বলা হয়, পাকিস্তান জিহাদি চেতনায় উজ্জীবিত হাফিজ সাঈদ ও মাসুদ আজহারকে ব্যবহার করেছে কাশ্মির ইস্যুতে। দৃশ্যত পাকিস্তান কাশ্মিরিদের সহায়তা দিয়ে কাশ্মির স্বাধীন করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র কাশ্মির বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা না নিলেও ২০০১ সালের ‘৯/১১’-এর পর দৃষ্টি আফগানিস্তানের দিকে ফিরায়। এদিকে ভারত সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে কাশ্মিরে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। ভারতীয় বাহিনী হত্যা, ধষর্ণ, লুটতরাজসহ সব ধরনের অপরাধ করতে থাকে। স্বাধীনতাকামী হিজবুল মুজাহিদিন, জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্ট ও জামায়াতে ইসলামী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে বছর ধরে। এটা অনস্বীকার্য, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে সেটি এখন প্রয়োগ করা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মিরে। ইসরাইল থেকে আমদানি করা হয়েছে অস্ত্র ও পিলেটগান। কাশ্মিরে জনরোষ ও হতাশা বাড়ছে। ভারত বিষয়টি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে সফল হয়নি।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ওপর ভারতের নজর বহুদিনের। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ভারত, যার মূল উদ্দেশ্য অঞ্চলটিকে পাকিস্তান থেকে পৃথক করা। উভয় দেশ ছায়াযুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল প্রয়োগ করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পুলওয়ামা ঘটনার সাথে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে সংযুক্ত করে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চাইছেন এবং তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘যেকোনো বদলা নেয়া’র অনুমতি দিয়েছেন। এর আগে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান বিবিন রাওয়াও বেফাঁস কথা বলে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। অপরদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় এসে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য দুইবার পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মোদি সরকারের তরফ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। ভারতের হুমকির পর ইমরান খানও সেনাবাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশ দু’টির সীমান্তে এ ধরনের চরম উত্তেজনা প্রায় সময় দেখা যায়। উভয় দেশ ডিফেন্সের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রতিযোগিতা করছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভারত যখন পরমাণু পরীক্ষা চালায় তখন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভুট্টো ঘোষণা দেন, ঘাস খেয়ে হলেও পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানাবে।’ কার্যত তা হয়েছে। উভয় দেশ এখন মিসাইল, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধজাহাজ, ইলেকট্রনিক যুদ্ধসামগ্রী, ট্যাংক, ড্রোন ইত্যাদি সমরাস্ত্রের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। অথচ সদ্ভাব বজায় থাকলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মানবসম্পদ ও অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যয় করা যেত।

কাশ্মিরে বর্তমানে প্রায় সাত লাখ ভারতীয় সেনা রয়েছে। ২০১৬ সালে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মিরের জনপ্রিয় তরুণ স্বাধীনতাকামী কমান্ডার বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করার পর অঞ্চলটিতে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ওই বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি চালালে শতাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়।

পুলওয়ামার ঘটনার মূল নায়ক আদিল দার কাশ্মিরের এক যুবক। জোর জুলুমের কারণে আস্থা হারালে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। দিল্লি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনকে তা বুঝতে হবে। কারণ কাশ্মিরিদের আর কণ্ঠরোধ করে রাখা সম্ভব নয়।

পুলওয়ামা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জয়শ-ই-মোহাম্মদ। জম্মু ও কাশ্মিরে এরা অপারেশন চালায়। তাদের উদ্দেশ্য হলো কাশ্মিরকে বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তানের সাথে একীভূত করা। ২০০০ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে জম্মু কাশ্মিরে এই সংগঠন অনেক আক্রমণ চালিয়েছে। মাসুদ আজহার ১৯৯৮ সালে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। পাকিস্তানের বাহওয়ালপুরে সংগঠনের হেড অফিস। ঘটনার আগে মাসুদ এক অডিও বার্তায় তার ভাগ্নে ওসমানের হত্যার প্রতিশোধ নেবেন বলে জানান। ২২ জনের এক স্কোয়াড জম্মু কাশ্মিরে প্রবেশ করে ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। পুলওয়ামা ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করলে পাকিস্তান বলেছে, ২০০২ সাল থেকেই এই সংগঠনের কাজকর্ম পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। ওদের নেতাকর্মীদেরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফ্রান্স মাসুদকে কালোতালিকাভুক্তির জন্য জাতিসঙ্ঘে আহ্বান জানিয়েছে। এ দিকে সন্ত্রাসীদের অর্থ দেয়ার কারণে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্তির জন্য ভারত ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) কাছে আবেদন করেছে। এর খসড়া তালিকায় পাকিস্তানের নাম রয়েছে। সন্ত্রাসী ঘটনায় পাকিস্তান কোনো ‘উন্নতি প্রদর্শন’ করতে না পারলে ২০১৯ সালের অক্টোবরে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে চীন এ বিষয়ে ভেটো দিতে পারে। ইতোমধ্যে রাশিয়া ভারতকে সমর্থন দিয়েছে। তুরস্ক ও চীন সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তানকে।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাকিস্তানি পতাকা বিক্রি করা হচ্ছে, সাথে বিনা পয়সায় লাইটারও দেয়া হচ্ছে, অর্থাৎ, এই পতাকা পোড়াও। ‘সন্ন্যাসী’ রামদেব কাশ্মিরের সব আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, মোদি তার শিষ্য। তিনি আরো বলেন, ‘হাফিজ সাঈদ ও মাসুদ আজহার ওসামা বিন লাদেনের ভাগ্য বরণ করবে।’ অমিতাভ বচ্চন পুলওয়ামায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি করে প্রদান করছেন। তিনিও উগ্র রামদেবের শিষ্য। মুম্বাইতে ২২টি চলচ্চিত্র সংগঠন একযোগে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। কোনো কাশ্মিরি মুসলমানকে চিহ্নিত করা গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাশ্মিরি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় মাসুদ আজহার আরো সেনা কনভয়ে হামলা চালানোর ঘোষণা এবং নরেন্দ্র মোদিকে বহনকারী ট্রেনও ‘উড়িয়ে দেয়া’র হুমকি দিয়েছেন। ভারত পাকিস্তানি শিল্পীদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং পাকিস্তান সব ভারতীয় ছবি প্রদর্শন বন্ধ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তান নতুন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতকে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান। পাকিস্তানের কেউ ‘দোষী সাব্যস্ত’ হলে তিনি চরম ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ফেসবুকে আরো লিখেছেন, এসবে আমার দেশকে জড়াবেন না। ভারত যদি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চায়, আমরা তা প্রতিহত করব। যুদ্ধ শুরু করা সহজ, কিন্তু শেষ করা কঠিন। যুদ্ধ করে কাশ্মির সমস্যার সমাধান হবে না। আলাপ-আলোচনা দরকার।’

মনে হয়, জয়শ-ই-মোহাম্মদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা বছরের শেষের দিকে কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে। তখনকার চাপ সামলানো আরো কঠিন হবে। এটা ভারতের লাভ। পুলওয়ামা ঘটনার পর পাকিস্তান বেশ চাপের মুখে রয়েছে। বরাবরের মতো যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পক্ষ নিয়েছে। ইসরাইল বলেছে, ভারতের নিরাপত্তার জন্য ‘যা করার করা হবে।’ ইইউ ভারতকে সাপোর্ট দিলে পাকিস্তান আরো কোণঠাসা হয়ে পড়বে। ছোটখাটো অনেক উগ্রপন্থী সংগঠনের কারণে পাকিস্তানের ‘ইমেজ’ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। উগ্রপন্থীরা বিভিন্ন দল উপদলের ব্যানারে মুসলমানবিরোধী উসকানিকে চাঙ্গা করে তুলছে। কাশ্মিরের জনগণ একদিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদে চাপ, অন্য দিকে ‘জিহাদি’দের যুদ্ধের ডাকে হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে গেছে।

এবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে ভারতের ১২টি মিরেজ জেট যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে জয়শ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায়। তখন প্রায় এক হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়। ভারতের দাবি, এতে পাকিস্তানের বালাকোট, ছাকোটি ও মুজাফফরাবাদে তিনটি আস্তানা ও মিসাইল লঞ্চ প্যাড ধ্বংস এবং কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দুটি বিমান বিধ্বস্ত এবং দু’জন পাইলট ধৃত হয়েছে। তার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানায়। পাকিস্তান জানিয়েছে, যদি ক্ষতি হয়েই থাকে ভারত প্রমাণ দিচ্ছে না কেন? একটি ভারতীয় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। পাকিস্তান বলেছে, এবার আমাদের পালা। যেকোনো সময় আবারো বড় ধরনের পাক-ভারত যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।

একসময়ের ‘শান্তির আবাসভূমি’ কাশ্মির, যাদের নিত্যসঙ্গী ছিল সঙ্গীত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আখরোট ও পেস্তাবাদাম, জাফরান চাষ এবং মৃগনাভির সুঘ্রাণে যারা একসময় অতিবাহিত করত, তাদের চারদিকে এখন বারুদের গন্ধ।

দুই দেশের সরকার যত দিন রাজনৈতিক ও সামরিক ফায়দা লুটবে, শক্তিধর দেশগুলো যত দিন অস্ত্র বিক্রির বাজার পাবে, তত দিন বড় কিছু আশা করা বাতুলতা। বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোকে চাইতে হবে ডাল লেকে কাশ্মিরি লোকসঙ্গীতের সুর লহরী ও সানাই বেজে উঠুক, হজরত বাল মসজিদ আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে হোক মুখরিত। কাশ্মির বিশ্ব পরিব্রাজক ও পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত হোক। তবেই কাশ্মিরিরা শান্তির আলো দেখতে পাবে। ইমরান খান কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে ‘নিরপরাধ লোকদের হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কাশ্মিরের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি অঞ্চলটির মানুষের ইচ্ছে এবং জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব মেনে চলার জন্য ভারতের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন। ইমরান খান বলেন, সে অনুযায়ী কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে হবে, ভারতের সেটি উপলব্ধি করার সময় এসেছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top