নিহত আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলের ব্যাপারে তথ্য দিলে এক মিলিয়ন ডলার দেবে (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৪ কোটি ২১ লাখ টাকা) আমেরিকা। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একথা জানান হয়েছে।
আমেরিকা মনে করে বাবার পর লাদেন- পুত্র এখ আমেরিকার জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এখন তার লক্ষ্য আমেরিকাকে রক্তাক্ত করা। আর তাই হামজা বিন লাদেনকে অনেকেই ‘সন্ত্রাসের রাজপুত্র’ বলে থাকেন। এ হেন হামজা কখনো পাকিস্তানে থেকেছে, কখনো থেকেছে আফগানিস্তানে, আবার কখনো ইরানে গৃহবন্দি অবস্থায় হামজার দিন কেটেছে। কিন্তু এখন হামজা কোথায়, সেটা কেউ জানে না। জানাতে পারলেই মিলবে এক মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই এই প্রস্তাবটি প্রযোজ্য হবে বলে আমেরিকা জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে ২০১১ সালে বাবাকে আমেরিকা যেভাবে খতম করেছিল তার বদলা নিতেই হামজা মার্কিন মুলুকে আঘাত হানতে চায়। এমন কাজ যাতে সে না করতে পারে তার জন্যই উদ্যোগ নিচ্ছে আমেরিকা।
২০১১ সালের মাঝামাঝি পাকিস্তানে প্রবেশ করে আবোটাবাদের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী। তাদের হাতেই মৃত্যু হয় লাদেনের। বাবার মৃত্যুর পর আল কায়দার সন্ত্রাসকে নেতৃত্ব দেয় হামজা। ২০১৫ সালে তার একটি বার্তা এসে পৌছয়। সেখানে সে সিরিয়ায় কাজ করা সমস্ত উগ্রবাদী সংগঠনকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেয়। সে মনে করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে পারলে তবেই যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করা যাবে।
হামজা বিন লাদেন কোথায় আছে তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। একটা সময় মনে করা হত ইরানে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকে হামজা। তখনই তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বছর খানেক আগে ইংল্যান্ডের একটি পত্রিকাকে হামজার এক আত্মীয় জানান, সে হয়ত আফগানিস্তানে আছে। সেখান থেকে আরো জানা যায় হামজার সঙ্গে মোহাম্মদ আতার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ২০০১ সালে আট্টার নাম জেনেছিল গোটা পৃথিবী। ১১ সেপ্টম্বরের হামলার অন্যতম বিমান ছিনতাইকারী এই আতা।