হ্যামিল্টনে টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাট-বল কোনোটাই টাইগারদের পক্ষে কথা বলেনি। ফলে দিনশেষে ব্যাকফুটেই থাকে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে নিউজল্যান্ডের সংগ্রহ ৮৬। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জিত রাভাল ৫১ এবং টম লাথাম ৩৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। ২৮ ওভারে টেস্ট মেজাজে খেলেই তারা এ রান করেন।
বাংলাদেশের আবু জায়েদ, খালেদ আহমদ, এবাদত হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার বল করেন। কিন্তু কেউই দলকে কোনো সাফল্য এনে দিতে পারেননি। বরং ধীরে সুস্থে খেলে প্রথম দিনেই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন জিত রাভাল। ৫১ রান করার পথে তিনি চারের মার মারের ৮টি। তাকে সঙ্গ দেয়া টম লাথাম ৩৫ রান করেন চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলেছে ওয়ানডে স্টাইলে। হ্যামিল্টনে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের শুরুর দিকে কিন্তু ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১২৬ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন তিনি। ওয়ানডে স্টাইলে তিনি ১২৮ বলে ১২৬ রানের ইনিংস উপহার দেন। এটি তার ৯ম টেস্ট সেঞ্চুরি, আর বিদেশের মাটিতে ৪র্থ টেস্ট শতক।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই ছিল। অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের সাথে শাদমান ইসলাম চমৎকার সূচনা করেন। তারা উদ্বোধনী জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার করে দেন। ওপেনার সাদমান ইসলাম দলীয় ৫৭ রানে মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ২০ রান। আর মুমিনুল হক ফিরে গেছেন ১২ রান করে। আর মিথুন বিদায় নেন ৮ রান করে। সৌম্য সরকার করেছেন ১ রান। আর তামিম ইকবাল ১২৬ রান করে আউট হয়েছেন। এরপর মাহমুদুল্লাহ ২২, মিরাজ ১০, আবু জায়েদ ২, খালেদ আহমদ ০ এবং লিটন দাস ২৯ রান করে আউট হয়ে যান।
এক তামিম ছাড়া দলের আর কেউ তেমন উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। বলা চলে, তামিম একা যতটুকু করেছেন, আর বাকি সবাই মিলেও তত রান করতে পারেননি। লিটন দাস ২৯, সাদমান ২৪ এবং মাহমুদুল্লাহ ২২ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসেনি একটি রানও। ফলে ৫৯.২ ওভারে যখন বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়, তখন টাইগারদের মোট রান ২৩৪।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়াগনার ৫টি, টিম সাউদি ৩টি এবং বোল্ট ও গ্র্যান্ডহোমে একটি করে উইকেট লাভ করেন।
হ্যামিল্টনে পেস সহায়ক উইকেট জেনেও দলে পেস বোলার নেয়া হয়েছে শুধু আবু জায়েদ ও অভিষিক্ত ইবাদত হোসেনকে। স্পিন আক্রমণে রয়েছেন অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মিডল অর্ডার মোহাম্মদ মিথুন।
অন্যদিকে কিউইরা তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে সাজিয়েছে তাদের বোলিং অ্যাটাক।
বাংলাদেশ দলের একাদশ: তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিখুন, মেহেদি হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেন।
নিউজিল্যান্ড একাদশ : টম লাথাম, জিত রাভাল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেইলর, ওয়াটলিং (উইকেটরক্ষক), হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্র্যান্ডহ্যাম, টোড অ্যাস্টল, ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি।