বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারের লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে, মো. কুদ্দুস, (৫০) হিরু সিদকার, (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৩৫), পান্না মিয়া (৪০), আব্দুল আজিজ (৬৫), শাহ আলম (৭০), ফরিদা বেগম (৬৫), জাহাঙ্গীর (৩৫), মতিয়র রহমানসহ (৫২) আরো অনেকে।
পাথারঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মো. মধু মিয়া জানান, রাত ৩টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ পশ্চিম-দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতি বেড়ে যায়।
এ সময় ১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকার ঘড়-বাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে কালমেঘা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালমেঘা, পাথরঘাটা পৌরসভা, সদর ইউনিয়নের রুহিতা ও পদ্মা এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাথরঘাটা বিদ্যুৎ বিভাগের আনিছুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকার বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার ছিড়ে এবং খুঁটি ভেঙে গেছে। ফলে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর পরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থানরত পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এরপর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন।