‘আমি চলে যাবো। এতো দূরে যাবো যে, আর কখনো ফিরে আসবো না, আমাকে বিদায় দিতে পারার আনন্দে, তুমি কি তখন কাঁদবে, আমার জন্যে? কারো অবহেলিত ভালোবাসার চাইতে, জীবনে একা থাকা অনেক ভালো। একাকিত্ব জীবনে অসিম সুখের দেখা না পেলেও, অসিম দুঃখ/কষ্ট থেকে অবসরে থাকা যায়।’
যশোরের চৌগাছায় সাব্বির হোসেন মামুন (১৬) নামে এক অনার্স পড়ুয়া ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের আম্রকানন পাড়া এলাকায়।
মামুন যশোর সরকারি এমএম কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও চৌগাছা শহরের আম্রকানন পাড়ার মোশাররফ হোসেন মসা ড্রাইভারের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় মামুন আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েই সে মায়ের ওড়না দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেন।
মামুনের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, সাব্বির বুধবার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে মায়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না। ওর মা ঘটনাটি বুঝতে পেরে ডাকচিৎকার করলে স্থানীয় প্রতিবেশি লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নাহিদ সিরাজ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবার ও সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজীব বলেন, আত্মহত্যার ঘটনাটি আমি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গোগলডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে। তিন দিনের ব্যবধানে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো।