এ যেন ছক্কা মারার প্রতিযোগিতা চলছিল। পুরো ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা মারলেন ২৪টি ছয়। যার মধ্যে বাটলার নিজেই মেরেছেন তার অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি ছয়। পরে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের পক্ষ থেকে যার জবাব মিলল ক্রিস গেলের ব্যাটে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৫০০তম ছক্কা মেরে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন তিনি। তিনিও মারলেন ১৪টি ছক্কা।
খেলায় অবশ্য ইংল্যান্ড জিতেছে ২৯ রানে। ইংল্যান্ডের করা ৪১৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয়েছে ৩৮৯ রানে।
এ জয়ের পাশাপাশি, এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কেন ফেভারিট, তা দিন প্রমাণ করে দিলেন অইন মর্গ্যানরা। বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চতুর্থ ওয়ান ডে ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ল ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারে তাদের স্কোর ৪১৮-৬। অধিনায়ক মর্গ্যান উপহার দিলেন ১০৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। বিধ্বংসী জস বাটলারও। তার ব্যাট থেকে এল ৭৭ বলে ১৫০ রানের ইনিংস। মর্গ্যান-বাটলার জুটিতেই ওঠে ২০৪ রান।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং আলেক্স হেল্স ১৩.৫ ওভারে ১০০ রান করেন। তখনই মিলেছিল ব্যাটিং-ঝড়ের ইঙ্গিত। তাদের তৈরি মঞ্চে দাঁড়িয়েই ক্যারিবিয়ান বোলিংকে দুরমুশ করেন মর্গ্যান এবং বাটলার। ৮৮ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল আটটি চার এবং ছ’টি ছয়। বাটলারের ১৫০ রানের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার এবং ১২টি ছয়।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২ ছক্কা মেরে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই রেকর্ড টিকেছিল পাঁচ বছর। চলতি মাসের ২০ ফেব্রুয়ারি ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২৩ ছক্কা মেরে নতুন করে রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নতুন এই রেকর্ড টিকলো মাত্র ৭ দিন। এক ইনিংসে ২৪ ছক্কা হাকিয়ে সেই রেকর্ড এখন ইংল্যান্ডের দখলে।