সৌদি বাদশাহ সালমান পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ও নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠানের আগে গত মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
রিয়াদ সফররত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে বৈঠকে বক্তৃতাকালে বাদশাহ এ মন্তব্য করেন। বাদশাহ বলেন, তার দেশ স্থায়ীভাবে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ফিলিস্তিন ও এর জনগণের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
পোলান্ডের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তির জন্য তারা প্রস্তাব দেবে বলে আভাস দিয়েছিল। তারই প্রেক্ষাপটে বাদশাহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন। গত মাসে দুই দিনের সম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পেন্স বলেছিলেন যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অস্থিতিশীল প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে ইউরোপের বড় বড় দেশগুলো নিম্নপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পোলান্ড তাদের কর্মসূচি নমনীয় করেন। তারা বলেন, এ সম্মেলন কেবল ইরান নিয়ে নয় বরং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনা করছে।
ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জারেড কুশনার মধ্যপ্রাচ্যের তথাকথিত ‘শতাব্দী চুক্তির’ চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এ ব্যাপারে বক্তব্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে কুশনারের পরিবারের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল ইসরাইলের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি এ চুক্তি সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শেষদিকে কুশনার মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ সফরকালে তিনি সৌদিতে যাত্রাবিরতি করবেন। ওয়াফা বার্তা সংস্থা জানায়, মার্কিন প্রস্তাবিত ‘শতাব্দী চুক্তি’ নিয়ে পর্দার অন্তরালে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা নিয়েও ফিলিস্তিনি নেতা আলোচনা করেন।
ফিলিস্তিনি নেতারা ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করে চলেছে। ওই সময় ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করেন। মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের কেন্দ্রে রয়েছে জেরুসালেম। ফিলিস্তিনিরা পূর্বজেরুসালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ড নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশা করছে।