নিহত পলাশের লাশ নেবে না পরিবার!

বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা থেকে দুবাইগামী একটি বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ। একদিনেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা এই ঘটনার মূল নায়ক অবশ্য নিরাপত্তাবাহিনীর কৌশলী ভূমিকা ও কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছেন। তবে নিহত পলাশের (২৩) লাশ বাড়িতে নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তার বাবা পিয়ার জাহান। সোমবার সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর দুধঘাটা এলাকার নিজবাড়িতে তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত কে এই কথা বলেন।

নিহত পলাশের পিতা পিয়ার জাহান বলেন,‘পলাশ আমাদের অবাধ্য সন্তান। সে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক এবং আমাদের জন্য মানহানিকর। অপকর্মের জন্য পলাশের লাশ আমরা বাড়িতে আনতে চাই না।’

তিনি আরো বলেন, আমরা পলাশের লাশ আনতে যাবো না। তবে প্রশাসন যদি লাশ পৌছে দেয় সে ক্ষেত্রে দাফনের ব্যবস্থা করবো। একথা বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি।

নিহত পলাশ চার ভাই ও বোনের মধ্যে সবার ছোট এবং পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়ায় পলাশের প্রতি সবারই একটু বেশি ভালোবাসা ছিল। সে জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পলাশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পিয়ার জাহান বলেন,‘পলাশের লাশ আমি দেখতে চাই না। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন,‘পলাশের নিহত হওয়ার খবর শোনার পর থেকে তার মা শয্যাশায়ী। তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারছেন না।’

পিয়ার জাহান বলেন,‘ছেলের অবাধ্যতা গুছিয়ে দিতে আল্লাহর কাছে নামাজের পর দোয়া করতাম। আল্লাহর কাছে অনেক চেয়েছি। তাকেও অনেক বুঝিয়েছি। তবে সে কথা শোনেনি।’

পলাশের বাবা বলেন,‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি ছেলে (পলাশ) আমাকে জানায় যে, সে আর বাংলাদেশে থাকবে না। দুবাই চলে যাবে। এ কারণে সে আমার কাছ থেকে ৫০০ দিরহাম দাবি করে এয়ারপোর্টে দেখানোর জন্য। আমি সেই টাকা জোগাড় করে দেই। এর ২০-২৫ দিন আগে পলাশ বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর তার আচরণে বিরাট পরিবর্তন দেখা দেয়। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে, মসজিদে গিয়ে আজানও দিয়েছে।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top