ডাকাতি মামলায় জাপা ও আ’লীগ নেতার ৭ বছরের কারাদণ্ড

পূবালী ব্যাংকের ২২ লাখ টাকা ডাকাতির চাঞ্চল্যকর মামলায় সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উসমান আলী এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতা আশিক আহমদসহ ১৬ জনকে ৭ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডেরও আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উসমান আলী ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

সোমবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূইয়া এই রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদ, নগরীর ফাজিলচিশতের জাবেদ, সওদাগরটুলার রুবেল আহমদ, বনকলাপাড়ার কামাল হোসেন, নগরীর সুবিদবাজারের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা কলিন্স সিংহ, কদমতলীর আবদুল মমিন, ইঙ্গুলাল রোড কুয়ারপাড়ের রহিম আলী, দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের শফিক মিয়া, একই গ্রামের বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান উসমান আলীর ভাই আনহার ও আঙ্গুর, আবদুল হক লিটন, শাহান, লিটন ও সিপন আহমদ।

এদের মধ্যে জাবেদ, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আবদুল হক লিটন ও লিটন পলাতক রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভূক্ত অপর আসামী আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা নিয়ে নগরীর লালদিঘীরপাড় প্রধান শাখায় মাইক্রোবাসযোগে আসছিলেন পূবালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গার্ড মোজাম্মেল আলী, আমানত উল্লাহ ও মাইক্রোবাস চালক মজনু মিয়া। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে হুমায়ূন রশীদ চত্বরে আসার পর ১৫ থেকে ২০ জন লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে গাড়িতে থাকা ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ১৪ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি স্টেনগানও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার দীর্ঘ শুনানী ও ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত মামলার ১৬ আসামীকে সাজা এবং একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মফুর আলী। আসামী পক্ষে ছিলেন- শফিকুল ইসলাম শফিক, শামীম আহমদ, শহীদুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, মোঃ হাসান, আবদুর রহমান আফজাল, মেসবাউজ্জামান জাকারিয়া খান ও অশেষ কর।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top