বরগুনার পাথরঘাটায় আকস্মিক এক ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কুপধোনসহ বিভিন্ন এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এক মিনিটের চেয়েও কম সময়ের এ ঘূর্ণিঝড়ে এতে চারজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর রাতে হঠাৎ শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়টিতে মুহূর্তের মধ্যেই কালমেঘা ও কামারহাট বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় ৬৫টি ঘর উড়ে যায়।
কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মোস্তফা বলেন, এক মিনিটের চেয়ে কম সময়ের ঘূর্ণিঝড়ে এক গ্রামের ২৯টি বসতঘর ভেঙে পড়ে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
পল্লী বিদ্যুতের পাথরঘাটা উপকেন্দ্রের উপকূলীয় রিসিপশনের দায়িত্বে থাকা মো. নাজমুল হাসান জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি ভেঙে গেছে। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের কেবলও ছিড়ে যায়।
ফলে পাথরঘাটা উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে। তবে পাথরঘাটা পৌরশহরে রাত থেকেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরো জানান, বিদ্যুতের পাশাপাশি উপজেলায় পানি সরবরাহও বন্ধ থাকবে।
এ সময় গাছ পড়ে ৩টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখানে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির সরেজমিন পরিদর্শন করে জানান, ভোর রাতে ঝড়ে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া ঘর চাপা পড়ে ১টি ছাগল মারা গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে। তাছাড়া বিকেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হবে।