বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-২০ দলের অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সাথেও ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত পলাশ। স্বয়ং পলাশের সাথেই সাকিব আল হাসানের তোলা একটি ছবিতে সেটাই দেখা যাচ্ছে। বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা ও পরে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত পলাশ তার ফেসবুক আইডিতে সাকিবের সাথে একটি ছবি আপলোড করেন গত বছরের ৩১ আগস্ট।
ফেসবুকে প্রকাশ করা এই ছবিতে রোববার নিহত পলাশ, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়াও রয়েছেন পলাশের স্ত্রী চিত্রনায়িকা সিমলা। ফেসবুকে আপলোডের পর ছবির ক্যাপশনে নিহত পলাশ লেখেন- বউ (সিমলা), আমি আর শালা বাবু সাকিব। নিহত পলাশ ফেসবুকে পলাশ মাহিবি জাহান নামে আইডি ব্যবহার করতেন।
এ বিষয়ে পলাশের বাবা পিয়ার জাহান বলেন, অনেকের সাথেই পলাশের সম্পর্ক ছিল। ১৯৯০ সালে কাজের উদ্দেশে তিনি ইরাক চলে যান। সেখানে চার বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনি আবার সৌদি আরব যান। ২০১২ সালে তিনি আবার দেশে ফেরেন। এর মধ্যে ছেলে মোঃ পলাশ আহমেদ তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২০১২ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করে। দাখিল পাস করে সে সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে পড়া অবস্থায় সে ঢাকায় চলে যায়। তারপর থেকে তার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়।
তিনি আরো বলেন, একপর্যায়ে জানা যায়- পলাশ নাকি ঢাকায় চলচ্চিত্রে কাজ করার চেষ্টা করছে। তখন বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশতো না, কথাও বলতো না।
সর্বশেষ গত শুক্রবার বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে পলাশ বলে, সে কাজের সন্ধানে দুবাই যাবে। রোববার চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় পলাশের মৃত্যুর খবর তারা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন বলে জানান তিনি।
সোনারগাঁও থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় নিহতের ছবি রোববার রাত ১টার দিকে দুধঘাটা গ্রামের ফিয়ার জাহানের বাড়িতে নিয়ে দেখালে তারা ছবিটি পলাশের বলে নিশ্চিত করেন।