পিলখানায় সেনাসদস্যদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি আমেরিকানরা। এ হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশকে ভারতের বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। ভারতের তাবেদারী করে আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে বলেও মত দেন তারা।
শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কেও জ্যাকসন হাইটসের একটি অডিটরিয়ামে হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ (এইচআরডিবি) আয়োজিত এক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এইচআরডিবি’র সেক্রেটারী প্রফেসর দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ লেখিকা মিনা ফারাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) খাজা মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক শাসছুল হক, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশী আমেরিকান প্রফেসিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট প্রফেসর কাজী ইসমাইল, এডভোকেট আবুল হাসেম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর জাহিদ বিন জমির।
এসময় বক্তারা বলেন , এ সরকার ক্ষমতা আসার পরই প্রথমে পিলখানায় দেশপ্রেমিক চৌকস সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। এরপরই জামাত-বিএনপির নেতাদের প্রথমে আদালতের মাধ্যমে পরে গুম খুনের মাধ্যমে নিঃশেষ করে দিচ্ছে সরকার। সর্বশেষ বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারেই নিঃশেষ করে দেয়া হবে বলে আশংকা করা হয় ওই আলোচনায়।
এসময় লেখিকা মিনা ফারাহ বলেন, পদ-পদবী ও অর্থের লোভে জামায়াতে ইসলামের নেতাদেরকে বিচারিক হত্যা করেছে সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা। তাই এসকে সিনহার ফাঁসি হওয়া দরকার বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ফেব্রুয়ারী মাস আমাদের জন্য অশুভ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পরই পিলখানায় বিডিআর এর চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করে। সম্প্রতি চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে শতশত মানুষ হত্যাকে বর্তমান হাসিনা সরকার এড়াতে পারেন না।
মিনা ফারাহ নেদারল্যান্ডে গণঅভ্যাত্থনের উদারণ দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়াতে হলে প্রথমে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদেরকে কথা বলতে হবে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে শুধুমাত্র ভারতই সেল্টার দিয়ে আসছে।
তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক ও এসকে সিনহার সমালোচনা করে বলেন, তারা অর্থের বিনিময় এবং পদ-পদবীর লোভে বাংলাদেশ জামায়াত নেতৃবন্দকে বিচাররিক হত্যা করেছে। জামায়াত নেতাদের হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা দরকার।