বর্বর নির্মমতার নিদর্শন রেখে একটি গরুকে গাছে ঝুলিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। যশোরের কেশবপুরে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বাগদহা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ গাজরি ছেলে কৃষক উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার দিন রাতে গরুটিকে খেতে দিয়ে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত প্রথমে তার ঘরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে।
এরপর ওই তারা ঘরের বারান্দায় থাকা জামাকাপড় কেটে টুকরো টুকরো করে। তারা বাড়ির মধ্যে থাকা বিভিন্ন রকম লাউ, শিম আম, সুপারি মেহুগনির বহুগাছ-গাছালি কেটে সাফ করে ফেলে। এক পর্যায়ে দুর্বৃৃত্তরা গোয়ালে থাকা গরুটিকে বের করে নিয়ে বাড়ি থেকে কিছুদূর মাঠের মধ্যে রাস্তার পাশের একটি খেজুর গাছের সাথে রশি দিয়ে গলায় বেধে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে গলা কেটে হত্যা করে।
সকালে গরুটির এ অবস্থা দেখতে এলাকাবাসী ভীড় করে। গরুটির আনুমানিক দাম ছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ দুদফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ নিয়ে গরুর মালিক উজ্জল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করায় পুলিশ একটি মামলা রেকর্ড করেন। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ঘটনার কিছুদিন আগেও বড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাড়ির টেলিভিশন সহ গাছগাছালি কেটে দিয়েছিল অজ্ঞাত শত্রুরা। পরে তার বাড়িতে রেখে যাওয়া একটি বিষের শিশিও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
উজ্জলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, উজ্জলের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের স্বামী উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের নফর আলী শেখের ছেলে আবু মুছা প্রায় সময় তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট তার স্ত্রী পূর্বের স্বামী আবু মুছাসহ তার ৩ ভাইকে আসামী করে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আবু মুছা প্রায় সময় আদালত থেকে ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্যেও হুমকি দিত। ধারণা করা হচ্ছে, তারাই এসব কাজের সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, থানার উপপরিদর্শক সুপ্রভাতকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।