মৃত্যুর বাড়ি চুড়িহাট্টা, এরপর কোনটি?

কবি শামসুর রাহমানের একটি কবিতার শিরোনাম- মৃত্যুর বাড়ি। চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিদগ্ধ ভবনটি দেখে মনে হলো, এটিই সেই মৃত্যুর বাড়ি। কারণ ‘ওয়াহেদ ম্যানসন’ নামের চারতলা বাড়িটি এখন আগুনে পোড়া অজস্র মৃত্যুর মর্মান্তিক সাক্ষী। চকবাজার মসজিদ থেকে সামান্য পশ্চিমে চুড়িহাট্টা মসজিদ ঘেঁষেই এই বাড়ি। আগুনে পুড়ে কালো কয়লা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পুরো চুড়িহাট্টাই এখন ধ্বংসস্তূপ; যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো পরিত্যক্ত এলাকা। আগুন নেভানোর পর দেখা গেল পোড়া পিকআপ, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা এবং অন্য জিনিসপত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে চুড়িহাট্টার ছোট্ট মোড়ে। এই এলাকাকে এখন ওখানকার বাসিন্দারাই চিনতে পারছেন না।

বকশীবাজার গির্দ্দা উর্দু রোডে আমাদের বাসা থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ চকবাজারের এই চুড়িহাট্টা। নাজির হোসেনের ‘কিংবদন্তির ঢাকায়’ আছে এর কথা। জেমস ওয়াইজের ১৮৮৪ সালের বর্ণনা অনুযায়ী, মোগল আমল থেকেই মুসলমান কারিগরেরা কাচের চুড়ি তৈরি করে চকবাজারে বিক্রি করতেন। তাই এলাকাটির নাম হয়ে যায় ‘চুড়িহাট্টা’। এই কারিগরদের নামাজ পড়ার জন্য সেখানে তৈরি করা হয় মসজিদ। সেটিই চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদ। ৩৭০ বছরের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই ঐতিহাসিক মসজিদ-সংলগ্ন ভবনেই গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটে যায় আগুনের তাণ্ডব। আগুন কেড়ে নেয় ৬৭টি তাজা প্রাণ।

ঘটনাটি রাতে টেলিভিশনে দেখে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে মন আরো খারাপ হয়ে যায়। শোকার্ত মানুষের আহাজারি-ক্রন্দনে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ি। বাংলাদেশ কি ‘মৃত্যু উপত্যকা’? মৃত্যুই কি এখানকার মানুষের নিয়তি? পত্রিকার শিরোনাম পড়ছিÑ ১. ‘গর্ভবতী স্ত্রী নামতে পারেননি; তাই স্বামীও নামেননি। পরিণামে গর্ভের সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। ২. চার বন্ধু আড্ডায় ছিলেন প্রতিদিনের মতো। চারটি মাথার পোড়া খুলি পড়ে আছে। ৩. দুই ভাইয়ের জড়াজড়ি করা লাশ আলাদা করে পাওয়া গেল তাদের বুকে জড়িয়ে ধরা শিশুর লাশ। শিশুকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন দুই ভাই। ৪. পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু সানিনের একটাই প্রশ্নÑ ‘মা কি মরে গেছে’? ৫. বাবার কাছে বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার করেছিল সন্তান। বাবা বিরিয়ানি নিয়ে ফিরে এসে আর পাননি সন্তানকে। এখনো লাশ খুঁজছেন। ৬. ছেলে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত; সন্তানের লাশ চাচ্ছেন মা। অন্তত একটু মাংসের দলা হলেও চলবে। তিনি শেষবার বুকে জড়িয়ে ধরবেন। ৭. মর্গে পাঁচ বছরের শিশু বাবার লাশের খোঁজ করছে। কী করুণ! কী হৃদয়বিদারক বর্ণনা!

এই মৃত্যুর কি শেষ নেই? ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলীতে আগুনে পুড়ে ১২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। ২০১২ সালের নভেম্বরে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে আগুন লেগে মারা যান ১১১ জন পোশাক শ্রমিক। আগুনের এ দু’টি বড় ঘটনার পরও আমাদের বোধোদয় হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আবার গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। রোববার পর্যন্ত আগুনে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৭। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪১ জনের অবস্থাও গুরুতর। শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা: সামন্তলাল রায়।

চুড়িহাট্টা এক সময় কাচের চুড়ি তৈরির জন্য নির্ধারিত থাকলেও সেখানে এখন আর কম মুনাফার চুড়ি তৈরি হয় না। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা মুনাফার জন্য সেখানে রয়েছে বিপজ্জনক পদার্থের বহু গুদাম ও কারখানা। ওয়াহেদ ম্যানসন নামে চারতলার যে ভবনটি থেকে ওই আগুনের উৎপত্তি, সেই ভবনের মালিক সেটি ভাড়া দিয়েছিলেন রাসায়নিক পদার্থ, স্প্রের কৌটা ও প্লাস্টিকের গুদাম হিসেবে। ভবনটির ভূগর্ভস্থ তলায়ও রাসায়নিক গুদাম পাওয়া গেছে। একই ভবনে গুদাম এবং মানুষের বাসস্থান। শুধু চুড়িহাট্টাই নয়, পুরান ঢাকার প্রায় সব এলাকার একই চিত্র। ঘিঞ্জি ও অলিগলির বাড়িগুলোতে বিপজ্জনক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন বাসিন্দারা। আগুনের মতো যেকোনো মহাবিপদ যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে। নিমতলীর ঘটনার পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে ১৭ দফা সুপারিশ তৈরি করেছিল; কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছরেও সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি। এসব সুপারিশের অন্যতম ছিল পুরান ঢাকার চিহ্নিত ৮০০ রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা অন্যত্র সরিয়ে ফেলা। চুড়িহাট্টার আগুনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, তারা কোনো ভবনে গুদাম বা কারখানা স্থাপনের অনুমতি দেননি। অর্থাৎ গুদামগুলো অবৈধ। তাহলে প্রশ্ন- এগুলো কেন সরানো হয়নি এত দিনেও? এই ঘটনা প্রমাণ করল সম্মিলিত ব্যর্থতা, দায়িত্বহীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই চুড়িহাট্টা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। আগুনে কয়লা হয়ে গেছে ৬৭ জন। চুড়িহাট্টার এই ট্র্যাজেডি জবাবহীন।

ফায়ার সার্ভিস থেকে বলা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলকাটিতে প্রচুর দাহ্য রাসায়নিকের (বডি স্প্রে) মজুদ রাখা, ঘিঞ্জি গলিতে পানির স্বল্পতা, যন্ত্রপাতি নিয়ে যেতে না পারা ইত্যাদি কারণে এত প্রাণহানি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির পথে বাধা ছিল সরু গলি। রাস্তাগুলোর প্রস্থ মাত্র ৮-১০ ফুট। পানির একমাত্র উৎস পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পুকুর। ঘটনাস্থল থেকে এই পুকুর ৪০০ মিটার দূরে। এলাকাটি এতই ঘিঞ্জি যে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা অতিরিক্ত মইও ব্যবহার করতে পারেননি। তা ছাড়া, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো উপলক্ষে ওইদিন দুপুর থেকেই বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। এলাকাটিতে সৃষ্টি হয়েছিল প্রচণ্ড যানজট। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সরু গলির কারণে আগুন এক পাশের ভবন থেকে অন্য পাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহেদ ম্যানসনের পাশের পাঁচটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘটনার পরপরই আগুনের উৎস ও কারণ নিয়ে নানা বক্তব্য আসতে থাকে। চুড়িহাট্টা মোড়ে বিদ্যুতের কোনো ট্রান্সফরমার না থাকলেও সেখান থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছিল বলে দাবি করেন কেউ কেউ। আবার কেউ বলেন, ওয়াহেদ ম্যানসনের সামনে একটি পিকআপের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ওপরে উঠে গিয়ে আগুন ছড়ায়। কেউ বলেন, রাসায়নিক দ্রব্য থেকে আগুন লেগেছে। প্রকৃতপক্ষে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট করে কর্তৃপক্ষ বলতে পারেনি। এই আগুন নিয়ে বিতর্ক চলছে। মন্ত্রী, মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায় এড়ানোর জন্য নিজেদের মতো করে বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। শিল্পমন্ত্রী আগবাড়িয়ে বলেছেন, কেমিক্যালের সাথে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আবার তিনিই বলছেন, পুরান ঢাকায় কোনোভাবেই আর কেমিক্যাল গোডাউন রাখতে দেবো না।

মেয়র বলছেন, দাহ্য পদার্থের গোডাউন উচ্ছেদের অভিযান চালাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপিও বলেছেন একই কথা। প্রশ্ন হলো- এই উচ্ছেদ অভিযান তারা এত দিন চালাননি কেন? সেতু ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই ঘটনা থেকে শিক্ষা পেলাম। আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি না।’ নিমতলীর এত বড় আগুনের ঘটনার পর কেন শিক্ষা হয়নি? ওই ঘটনার ৯ বছর পর শিক্ষা পেতে হলো! এত দিন তাহলে কি তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন? নিমতলীতে রাসায়নিক পদার্থের গুদামের অগ্নিকাণ্ডের কারণেই তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল এবং মৃত্যু হয়েছিল ১২৪ জন মানুষের। তখনো হইচই হয়েছিল, কিন্তু কিছু দিন পর সবাই বেমালুম তা ভুলে যান। ফলে এবার চুড়িহাট্টায় সৃষ্টি হলো মৃত্যুপুরী। হয়তো কিছু দিন পর চুরিহাট্টার কথাও একইভাবে ভুলে যাওয়া হবে। সৃষ্টি হবে আরেক মৃত্যুর বাড়ি। সেটি হয়তো পুরান ঢাকার অন্য কোনো গলি-ঘুপচি।

চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানসনের আগুনের জন্য তিনটি বিষয়ের যেকোনো একটিকে দায়ী করা হচ্ছে। গ্যাসসিলিন্ডার বিস্ফোরণ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ কিংবা রাসায়নিক দ্রব্যের কারণে। বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। আগুন লাগা ভবনের পাশের রাজমহল হোটেলের একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ওয়াহেদ ম্যানসনের দোতলা থেকে আগুন ছড়ায়। দোতলা থেকে বোমার মতো ছিটকে পড়তে থাকে সুগন্ধির ক্যানগুলো। দোতলার এই গুদামে সুগন্ধির ক্যান ও বাল্বের দোকান ছিল। প্রকৃত ঘটনা হয়তো উদঘাটিত হবে। তবে নির্মম সত্য হচ্ছে, আগুনে চুড়িহাট্টার বেশ কয়েকটি ভবন পুড়ে ছাই হয়েছে এবং ৬৭ জনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য মানুষ। অনেকে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান স্পষ্ট করেই বলেছেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা দাহ্য পদার্থ।

তা ছাড়া, অন্যান্য কেমিক্যাল দ্রব্য ছিল, যা দ্রুত আগুন ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে। পারফিউম বা বডি ¯েপ্রর বোতল রিফিল করা হতো ওখানে। সেই বোতলগুলো বিস্ফোরিত হয়ে বোমার মতো কাজ করেছে। কেমিক্যালের কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, আগুনের সূত্রপাত হয়তো সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে। তবে কেমিক্যালের কারণে আগুন ছড়িয়েছে, এটা সত্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পিকআপ ভ্যানের গ্যাসসিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়ে ওই ভবনে আগুন লেগেছে। কেউ বলেছেন, ঘটনাস্থলে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়েছে। আসলে সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে। দুর্ঘটনার সূত্রপাত যেভাবেই হোক, বিস্ফোরণ এবং কেমিক্যাল পুড়তে দেখা গেছে। বডিস্প্রের বোতলগুলো আতশবাজির মতো ফুটতে দেখা যায়।

পত্রিকায় খবর বের হয়েছে, ফায়ার সার্ভিস গত এক বছরে যত আগুন নিভিয়েছে, তার ৭৪ শতাংশই প্লাস্টিকের কারখানা, গুদাম ও দোকানের। প্রতি মাসে গড়ে একটি করে প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লেগেছে। আরেকটি রিপোর্টে রয়েছে, গত ১০ বছরে ছোট-বড় অন্তত ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে দেশে। এর মধ্যে ২০১০ সালে নিমতলীতে ১২৪ জন, ২০১২ সালে সাভারে তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টে ১১১ জন এবং ২০১৬ সালে টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় ৪১ জন মারা গেছে। এ ছাড়া, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের গরিব অ্যান্ড গরিব গার্মেন্টে ২১ জন, একই বছরের ডিসেম্বরে আশুলিয়ার দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যারে ২৯ জন এবং ২০১৭ সালে গাজীপুরের ম্যালটিফ্যারাস বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি ঘটতেই থাকবে? আমরা আর কোনো ‘চুড়িহাট্টা’ চাই না; চাই না নিমতলী কিংবা নিশ্চিন্তপুর। ‘বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলি’র নাম পুরান ঢাকা। এলাকাগুলোকে আধুনিত পরিকল্পনায় এনে কি সংস্কার করা যায় না? রাসায়নিক কারখানাগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়া হোক। আর যেন কোনো এলাকা মানুষের এমন নির্মম মৃত্যুঝুঁকির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top