নিজেদের মাঠে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বসুন্ধরা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে রোবার আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ চমৎকার খেলেও ৩-২ গোলে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছে। শুরু থেকে আরামবাগ দর্শকদের একটি নান্দনিক ফুটবল খেলা উপহার দিলেও ভাগ্য ছিল না তাদের পক্ষে। অন্তত ৫টি গোল মিস করে দলটির ফরোয়ার্ডরা। অন্যদিকে নিজের মাঠ যেন বসুন্ধরা কিংসকে সহায়তা করেই যাচ্ছে। একের পর এক জয় এনে দিচ্ছে তাদের।

এবার টানা চতুর্থ ম্যাচেও জয় নিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল নবাগত বসুন্ধরা কিংস। এর আগে প্রথম ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডকে ৩-০, দ্বিতীয় ম্যাচে নোফেল ষ্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ এবং তৃতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জ এমএফএসকে-১-০ গোলে পরাস্ত করে বসুন্ধরা কিংস।

রোববার খেলা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ একটি ম্যাচ উপহার দেয় দু’দলেই। বিশেষ করে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের খেলোয়ারদের ফুটবল নৈপণ্য দর্শকদের দারুণ ভাবে মুগ্ধ করে। প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে আরামবাগ প্রথম গোলটি করে এগিয়ে যায়।। বসুন্ধরা কিংসের ডি-বক্সের পশ্চিম কর্ণার থেকে নাইজেরিয়ার ফুটবলার চেন্দু বল পাঠান পূর্ব দিকে থাকা আরিফুর রহমানের কাছে। আরিফুল সেখান থেকে ড্রিবলিং করে বল বসুন্ধরার জালে পাঠান। কিন্তু এই জয় বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ।

দু’মিনিটের মাথায় পাল্টা গোল করে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। কোস্টারিকার ফুটবলার কলিনড্রেস ও ব্রাজিলিযার খেলোয়ার মারকোস ভেনিকার্ডের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন মতিন মিয়া। ৩৪ মিনিটে আলমগীর কবির রানার কাছ থেকে আবার বল পান মতিন মিয়া। মতিন ড্রিবলিং করে আরামবাগের গোলবারের কাছাকাছি গিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে আরো একটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন। ৪৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আলমগীর কবির রানার কাছ থেকে বল পেয়ে ব্রাজিলিযার খেলোয়ার মারকোস ভেনিকার্ড আরো একটি গোল করেন। এরপর আরামবাগ আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। সম্ভাবনাময় দু’টি গোলও মিস করে তারা প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ২মিনিটে ইঞ্জুরির কারণে মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয় আরামবাগের ফরোয়ার্ড আরিফুর রহমানকে। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন সুমন আলী। দ্বিতীয়ার্ধ খেলা শুরুর পর থেকে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে আরামবাগ। ৫২ মিনিটে এর সুফলও পেয়ে যায় দলটি। বসুন্ধরা কিংসের সুশান্ত এর ফাউল থেকে ফ্রি কিক পায় আরামবাগ। জাহিদ হুসাইনের ফ্রি কিকের বল বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়ারদের শরীরে বাধা পেয়ে পড়ে চেন্দুর পায়ে । চেন্দুর পাসে ডি-বক্সের ভিতর বল পেয়ে বসুন্ধরার জালে প্রবেশ করার নাইজেরিয়ার ফুটবলার কিংসলে।

এরপর গোলের ব্যবধান বাড়াতে এবং সমতায় ফিরতে দু’দলেই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকলেও কোন দলেই আর গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলের খেলোয়াড়রাই বেশ কয়েকটি গোল মিস করেন।

খেলা শেষে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কোচ মারুফুল হক বলেন, তার দল খুবেই ভাল খেলেছে। এরপরও জিততে না পারা দুঃখজনক। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গোল মিস না করলে আজ জয় আসতো।

খেলা শেষে দর্শকদের র‌্যাফেল ড্র অনুষ্টিত হয়। র‌্যাফেল ড্র’র প্রথম পুরস্কার ছিল একটি আটো ইজি বাইক। র‌্যাফেল ড্র’র কারণে চতুর্থ ম্যাচে দর্শক একটু বেশী ছিল।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top