ইজতেমা : সাদপন্থীদের জন্য জন্য যা করা হচ্ছে

তাবলিগ জামায়াতের দুই গ্রুপকে নিয়ে এক সাথে ইজতেমা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও সফল হতে পারেনি সরকার। পাশাপাশি সময়ে পৃথকভাবেই ইজতেমা করেছেন তারা। একইভাবে আগামী বছরও পৃথকভাবে ইজতেমা করার তারিখ নির্ধারণ করেছে তাবলিগের দুই গ্রুপ। একটি গ্রুপ এক দফা এবং আরেক গ্রুপ দুই দফা ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেছে।

সরকার এ বছর মাওলানা সাদ বিরোধীদের জন্য ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দেয়। তবে তারা এক দিন বাড়িয়ে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিন দিন ইজতেমা করেন। আর মাওলানা সাদপন্থীদের জন্য সরকার ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করলেও তারাও একদিন বাড়িয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি মুনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ করেন। মাওলানা সাদ বিরোধীরা আখেরি মুনাজাতের পর আগামী বছরের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। সে অনুযায়ী প্রথম দফা ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফা ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আর মাওলানা সাদ পন্থীরা ইজতেমা শেষে পরবর্তী ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে ৩ থেকে ৫ জানুয়ারি। এ সময় তারা পাঁচদিনের জোড়ের তারিখও নির্ধারণ করে। এ বছরের ২২ থেকে ২৬ নভেম্বর এ জোড় অনুষ্ঠিত হবে। ফলে দেখা যায় আগামী ইজতেমার জন্য সাদ বিরোধীরা দুই দফা এবং সাদপন্থীরা এক দফা তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ফলে আগামী বছরও ইজতেমা পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সাদপন্থী তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী নয়া দিগন্তকে বলেন, এ বছরের ইজতেমা শেষে মুরব্বিরা বসে তারিখ নির্ধারণ করেছেন। সে হিসাবে আগামী বছরের ইজতেমা ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা মাঠ থেকে এ তারিখ ঘোষণা করা হয় বলে তিনি জানান।

সাদবিরোধী ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, আগামী বছর আমাদের ইজতেমা দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমা মাঠ থেকেই গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মুরব্বিরা এ তারিখ ঘোষণা করেছেন।

এদিকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুই দফা ইজতেমা শেষ হওয়ার পর গতকাল থেকে মাঠ খালি করা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইজতেমার মাঠ তৈরিতে এককভাবে মাওলানা সাদবিরোধীরা দায়িত্ব পালন করলেও মালামাল অপসারণে দুই পক্ষকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার প্রশাসন ও দুই পক্ষের মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুসারে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দুই দফায় চারদিন করে মোট আট দিন সাদবিরোধীরা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত চারদিন সাদপন্থীরা মাঠে থাকা মালামাল অপসারণ ও গুদামজাত করবেন। এ কাজের জন্য টঙ্গীর মাঠে আয়োজিত ২৮ ফেব্রুয়ারির শবগুজারি বন্ধ থাকবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top