চকবাজারের হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকান্ডের পর হতেই পলাতক থাকা দুই মালিককে খুঁজছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির ছেলের দায়ের করা মামলায় তারা দুজন আসামি। তবে তাদের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক নিহতের সন্তান মো. আসিফ বাদী হয়ে হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক মো. হাসান (৫০), মো. শহীদ (৪০) সহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। আসিফের বাবা মো. জুম্মন চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন। মামলার এজাহারে বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজ করে মৃত্যু ঘটানো, ঘরবাড়ি ধ্বংসের জন্য আগুন বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার, উপাসনালয়, মানুষের বসতি বা সম্পত্তি রাখা হয়, এমন দালান ধ্বংস ও লোকসানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাদী আসিফ অভিযোগ করেন, হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের চারতলা ভবনের বিভিন্ন তলায় ভবনমালিক দাহ্য পদার্থের গুদাম ভাড়া দিয়েছিলেন। আর্থিকভাবে লাভবান হতে তারা আবাসিক এলাকার ভবনে কোনো পরিবারকে ফ্ল্যাট ভাড়া দেন না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোরাদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভবনের মালিকরা ওই ভবনে সব সময় থাকেন না। মাঝে মধ্যে আসেন। ভূগর্ভস্থ তলাসহ পাঁচটি ইউনিট ও প্রতিটি ইউনিটে চারটি করে ঘর ছিল। দুটি ইউনিটে দুটি পরিবার ভাড়া ছিল। তবে ওপর থেকে কোনো লাশ উদ্ধার হয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ভবনটিতে যারা থাকতেন, তারা বেঁচে আছেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, মো. হাসান ও মো. সোহেল ওরফে শহীদ দুজনেই নিরাপদে আছেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত একজনের স্বজন জানান, তিনি শুনেছেন ঘটনার দিন হাসান সপরিবার ঢাকার বাইরে ছিলেন। তারা আগে থেকেই চট্টগ্রামে বেড়াচ্ছিলেন। রাতে আগুন লাগার পর আরেক মালিক সোহেল ওরফে শহীদ ও তার মা বেরিয়ে যান। নাসিরউদ্দীন ছেলের খোঁজে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন এবং তিনি নিজেই তাদের দেখেছেন বলে তিনি দাবী করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮ টি মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।