ফারাক্কায় চার কিস্তিতে কম দেয়া হয়েছে ২৮,২৮৭ কিউসেক পানি

ফারাক্কা পয়েন্টে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম দশ দিন পর্যন্ত মোট চারটি কিস্তির প্রতিটিতে পানি কম পেয়েছে বাংলাদেশ। চারটি কিস্তিতে ২৮,২৮৭ কিউসেক পানি কম দেয়া হয়। চুক্তির ইন্ডিকেটিভ সিডিউল অনুযায়ী ভারত এ পরিমাণ পানি কম দেয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্যে আরো জানা যায়, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী পানিবণ্টন কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে। চুক্তির আওতায় এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত যৌথ নদী কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টনসম্পর্কিত পাওয়া তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি প্রথম দশ দিন পর্যন্ত চারটি কিস্তির প্রতিটিতে বাংলাদেশ পানি কম পেয়েছে ইন্ডিকেটিভ সিডিউল অনুযায়ী। এ হিসাবে এ পর্যন্ত চারটি কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ৪৮,৩৫৯ কিউসেক পানি কম পেয়েছে। জানা গেছে, এ সময়ে বাংলাদেশ পাওয়ার কথা ২,২১,৬৬৬ কিউসেক পানি। কিন্তু পেয়েছে ১,৭৩,৬০৪ কিউসেক পানি।

জানা গেছে, এবারে চলতি মাসের ১ থেকে ১০দিনে চুক্তির ইন্ডিকেটিভ সিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ ফারাক্কা পয়েন্টে পাওয়ার কথা রয়েছে ৬৭,৫১৬ কিউসেক পানি কিন্তু বাংলাদেশ পেয়েছে ৬১,০২৪ কিউসেক। হিসাব মতে, এই দশ দিনে ভারত ৬,৪৯২ কিউসেক পানি কম দিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে দেশটি চুক্তির সংলগ্নি-১ এর বণ্টন ফর্মুলা মেনে এ পরিমাণ পানি দেয়।

অপর দিকে, দ্বিতীয় দশ দিনে পানি আরো কমেছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় দশ দিনে বাংলাদেশ পাওয়ার কথা ছিল ৫৭,৬৭৩ কিউসেক পানি। কিন্তু বাংলাদেশ এই দশ দিনে আরো বেশি পানি কম পেয়েছে। এই দশ দিনে বাংলাদেশ ১৫,০৯৩ কিউসেক পানি কম পেয়েছে। তবে চুক্তির সংলগ্ন-১ এর বণ্টন ফর্মুলা অনুযায়ী বাংলাদেশ পেয়েছে ৪২,৫৮০ কিউসেক পানি।
অপর দিকে, জানুয়ারির শেষ দশ দিনে অর্থ্যাৎ ২১ থেকে ৩০ পর্যন্ত এই দশ দিনে পাওয়ার কথা ছিল ৫০,১৫৪ কিউসেক পানি, কিন্তু পেয়েছে ৩৫,০০০ কিউসেক। এই সময়ে প্রায় ১৫,১৫৪ কিউসেক পানি কম দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, ফেব্রুয়ারির প্রথম দশ দিনে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল ৪৬,৩২৩ কিউসেক পানি। বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৫,০০০ কিউসেক। এতে করে বাংলাদেশ কম পেয়েছে ১১,৩২৩ কিউসেক পানি।

পুরো পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফারাক্কা পয়েন্টে চুক্তির ইন্ডিকেটিভ সিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ পাওয়ার কথা ছিল ২,২১,৬৬৬ কিউসেক পরিমাণ পানি কিন্তু পেয়েছে বাংলাদেশ ১,৭৩,৬০৪ কিউসেক। চার কিস্তিতে বাংলাদেশ কম পেয়েছে ৪৮,৩৫৯ কিউসেক পানি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর গঙ্গা চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেইমতে প্রতিবছর জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে দু’দেশের পানিবণ্টন কার্যক্রম শুরু হয় যা মে মাস পর্যন্ত চলে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top