শোক ও শিক্ষা, বাংরেজি ও বিকৃতি

এবার একুশে ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। একেবারে সকালে বাসার জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি, প্রভাতফেরিতে যোগ দেয়ার জন্য পাশের স্কুলটিতে ছাত্র-শিক্ষকেরা আসতে শুরু করেছেন। একটা ছোট শিশু স্কুলগেটের সামনে। হয়তো তার মনের ইচ্ছা, ‘প্রভাতফেরি, প্রভাতফেরি, আমায় নেবে সঙ্গে?/বাংলা আমার বচন, আমি জন্মেছি এই বঙ্গে’ (আল মাহমুদ)।

এই কবি মাত্র সপ্তাহখানেক আগে চিরবিদায় নিয়েছেন একুশের প্রাক্কালে। তার ছড়াটি প্রাইমারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে দেখেছি। একুশের সকালে কিছুক্ষণ পর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে প্রভাতফেরির মিছিল কিছুদূর গিয়ে ঘুরে এলো। একেবারে সামনে দু’টি মেয়ে কালো ব্যানার ধরে আছে। এরপরই স্কাউটার ছেলেদের ব্যান্ডদল। লক্ষ করলাম, প্রভাতফেরির অনেকের পায়েই জুতা-স্যান্ডেল। নগ্নপদ হওয়া বাধ্যতামূলক মনে করা হয় প্রভাতফেরিতে। এখন বিশেষ করে রাজধানীর রাজপথের যে নোংরা, ভাঙাচোরা বীভৎস দশা; তাতে খালি পায়ে হাঁটা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।

বাসা থেকে বের হলাম। একটু পথ পাড়ি দিতেই দেখি, কলাগাছ পুঁতে বিয়েবাড়ির কায়দায় সাজানো হয়েছে। সে বরাবর গলিতে দেখা গেল, মিনি শহীদ মিনার। পাড়ায় ‘একুশের উৎসব’ চলছে। মনে পড়ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবসের সাথে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের উদ্যোগে। এখনো সেই একই দল ক্ষমতায়, কিন্তু দিনটিতে অনেকের কাছে শোকের বদলে আনন্দ মুখ্য হয়ে উঠেছে। আজ যদি শহীদদের স্বপ্ন মোতাবেক জীবনের সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত ও অধিষ্ঠিত হতে পারত, তবুও না হয় এই আনন্দের পক্ষে কিছুটা যুক্তি খুঁজে পাওয়া যেত। কিন্তু জনগণের ভাষা বাংলাই যে আজকের বাংলাদেশে কাজীর কেতাবের পরিণতি নিয়ে বাস্তবে অপাঙ্ক্তেয় হতে চলেছে।

পাড়া ছাড়িয়ে উঠলাম সদর রাস্তায়। কিছু দূর গেলে রাজপথের পাশেই একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সামনে একটা মিনি শহীদ মিনার। সেটি ‘বাচ্চা গোছের’। একুশের প্রাক্কালে তা এনে বসিয়ে দেয়া হয় জায়গামতো। এবার বিশ্ববিদ্যালয়টি একুশে উপলক্ষে বাংলা লেখার প্রতিযোগিতা আহ্বান করেছিল। তবে হস্তলিপি নয়। শর্ত ছিল- ‘আদর্শ বাংলা ফন্ট’ হতে হবে। হাতে লেখার প্রতিযোগিতাই হতো উত্তম। প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এ যুগে অনেকে হরদম কম্পিউটারে টাইপ করতে গিয়ে লেখার হাত নষ্ট করে ফেলেছেন।

একুশের বয়ানে ফিরে যাই। দুপুরে রাজধানীর এক সড়কে দেখা গেল, প্রায় মাঝ বয়সী এক লোকের পরনে পাজামা-পাঞ্জামি। সেই পাঞ্জাবির গায়ে স্থায়ীভাবে লেখা ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। মিনিবাসে উঠে বসার একটু পরে একজন তরুণী উঠলেন, যার গায়ে হাতাকাটা জামা। অত্যাধুনিকার উন্মুক্ত বাহুতে রঙ দিয়ে লেখা- ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। এবারই প্রথম এসব দেখলাম। জানি না, এই পুরুষ ও এই নারীর মতো বাংলাভাষী নাগরিকেরা দৈনন্দিন জীবনে মাতৃভাষাকে কতটা মর্যাদা দেন কিংবা তাদের চর্চিত বাংলা ভাষা কেমন?

ষাটের দশকে আমাদের শৈশবে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রধানত বেসরকারিভাবে পালিত হতো। একইভাবে বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখও উদযাপন করা হতো বেসরকারি উদ্যোগে। তখন ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখকে সাধারণত ‘শহীদ দিবস’ বলা হতো। নিকট অতীতে কেউ কেউ দিনটিকে বাংলা বর্ষপঞ্জি মোতাবেক ‘৮ই ফাল্গুন’ হিসেবে চালু করার প্রয়াস পেয়েছিলেন। তবে তা সরকারিভাবে গৃহীত হয়নি। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ ফাল্গুনের বদলে ৯ ফাল্গুন হয়ে গেছে এবং সেভাবেই চলতে থাকবে।

ছোটবেলায় আমাদের মফস্বল শহরে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে দু’টি বিষয় ছিল লক্ষণীয়। একটি হলো, প্রভাতফেরিতে সমবেত কণ্ঠে গান গেয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ। অন্যটি হচ্ছে, ভাষাশহীদ আবদুস সালামের কোনো নিকটজনকে (সম্ভবত বাবা) শহীদ মিনারের মঞ্চে বসিয়ে রাখা। পরে সালামের নামে স্থানীয় স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছে। একজন ভাষাশহীদের গ্রামের বাড়ি আমাদের জেলায়- এটা জেনে বিস্ময় ও গর্ব দুটোই বোধ করতাম। সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার ছিল, একুশের মিছিলে প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকত- ‘নূরুল আমীনের কল্লা চাই।’ প্রথমে বুঝতাম না, কারো কল্লা নেয়ার সাথে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সম্পর্ক কী? আসলে নূরুল আমীন ১৯৫২ সালে প্রাদেশিক সরকারের প্রধান ছিলেন। তখনই একুশের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। এ জন্য তার সরকার নয় শুধু, খোদ তাকেও দায়ী করা হতো। ষাটের দশকেও তার কল্লা চাওয়া বন্ধ হয়নি। তখন তিনি স্বৈরাচারী শাসক আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা।

এরশাদ আমলে একুশে ফেব্রুয়ারি অন্যরকম মাত্রা পরিগ্রহ করে। স্বৈরাচারী হিসেবে গণ্য হয়ে তিনি অব্যাহত গণ-আন্দোলনের প্রচণ্ড বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এরশাদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন সকালে। তার আমলে ১৯৮৩ সালের একুশের দিন প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী বিশেষত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের রোষের শিকার হন। শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে ধাওয়া করে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। এতে তার গায়ের পাঞ্জাবির একাংশ ছিঁড়ে যায়। সেই ছবি পরদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এই প্রবীণ রাজনীতিক আওয়ামী লীগের ছয় দফা আন্দোলনে বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে হয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী। এরশাদের জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষনেতা হিসেবে বারবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। শেষ জীবনে ফিরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগে।

বলছিলাম হু. মু. এরশাদের কথা। তিনি শেষবারের মতো শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে। তাও সবাই ফুল দেয়ার পরে; দুপুর ১২টার কিছু আগে। পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে সেদিন আমার দায়িত্ব ছিল, সে ঘটনা ‘কভার’ করা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত। সঙ্ঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সেই চরমলগ্নে এসেছিল সেবারের একুশে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়, বিভিন্ন বাহিনীর কড়া প্রহরার মাঝে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরশাদ সাহেব কোনো মতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে অঙ্গন ত্যাগ করতে না করতেই অবর্ণনীয় অবস্থা সৃষ্টি হলো। নিরাপত্তা প্রটোকল তুলে নেয়ার সাথে সাথে শত শত উত্তেজিত ছাত্র-যুবক ছুটে আসে। মুহূর্তেই তারা শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে রাখা ফুলের তোড়া, গোছা, মালা- সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। একই সাথে কৌতূহলী জনতা এবং উচ্ছৃঙ্খল বহু টোকাই মিনার চত্বরে উঠে লাখ লাখ টাকা দামের ফুল লুফে নিতে থাকে। লোকজন জুতা-স্যান্ডেল পরেই শহীদ মিনারে উঠে কেউ ফুল সংগ্রহ করছিল, কেউ দিচ্ছিল স্লোগান আর কেউ বা ফুলে লাথি মেরে বা ছুড়ে ফেলে ক্ষোভ মেটাতে ছিল তৎপর। কয়েক মিনিটেই অসংখ্য ফুল আর ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, জুতা-স্যান্ডেল মিশে একাকার।

ইতিহাসবিকৃতি আমাদের সমাজের অনেকেরই মজ্জাগত। আত্মপ্রচার, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি, দলীয়করণ, নিজ পছন্দমাফিক অতি মূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন প্রভৃতি কারণে ইতিহাসের প্রকৃত স্বরূপকে অস্বীকার করে বিকৃত রূপ উপস্থাপন করা হয়। ভাষা অন্দোলনের ইতিহাসও এই বিকৃতির কবল থেকে অনেক ক্ষেত্রে নিস্তার পায়নি। ফলে অনেককে ‘ভাষাসৈনিক’ সাজানো হয়েছে। আবার প্রকৃত সৈনিক ও সংগ্রামীদের অনেকে লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেছেন। এবার পত্রিকায় একটা খবর, শতবর্ষী একজন ভাষাসৈনিকের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কেন ’৫২ সালের ৬৭ বছর এবং স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও সরকার এবং মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীরা প্রকৃত ভাষাসৈনিকদের খবর রাখবেন না? কেন স্বীকৃতির আশায় জীবন কাটিয়ে দিতে হবে তাদের? আসলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অনেকটা বড় শহরকেন্দ্রিক রয়ে গেছে। এর বাইরেও বহু ভাষাসৈনিক ছিলেন, যাদের অনেকেই আজো জীবিত। তাদের যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রয়োজন। তাদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের এবং পূর্ণাঙ্গ ইতিবৃত্ত প্রণয়ন ও সংরক্ষণের স্বার্থে তাদের স্মৃতিকথা সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করা উচিত।

জীবিত ভাষাসৈনিকদের মধ্যে যারা লেখালেখি করছেন আজো, তাদের মধ্যে অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো বয়স্ক আর কেউ নেই। এই কলামিস্ট বহু বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিরলস ভূমিকা রেখে চলেছেন। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক মুখপত্র ‘সৈনিক’-এর তিনি সম্পাদক ছিলেন। তাকে শুধু ‘ভাষা সৈনিক’ নয়; ‘ভাষা সেনাপতি’দের অন্যতম বলা চলে। সরকার কতজনকেই তো ঠেস দিয়ে তুলে ধরে পদক-পদবি-পুরস্কারে ভূষিত করেছে ও করছে; কিন্তু অধ্যাপক আবদুল গফুর রয়ে গেলেন উপেক্ষিত। এবার অনেকটা নীরবে চলে গেল তার ৯০তম জন্মবার্ষিকী।

‘সহিদ ষড়নে’- একটা কার্টুনে দেখানো হয়েছিল মহান একুশের ব্যানারে এই বানানে লেখা হয়েছে ‘শহীদ স্মরণে’ কথাটিকে। এটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু হরহামেশা আমরা দেখছি, মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষিত মহলেরও ছিনিমিনি খেলা। ‘সহিদ ষড়নে’ মার্কা মহাভুল সব সম্ভবের এ দেশে করা বিচিত্র নয়। বিশেষ করে কয়েকটি বেসরকারি বেতারে বাংলা ভাষাকে খেয়ালখুশিমতো বিকৃত করার অভিযোগ ব্যাপক। তারা ‘বাংলিশ’ বা ‘বাংরেজি’ প্রচারে লিপ্ত বলেই সচেতন ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদের অভিমত। এদের খিচুড়ি ভাষার প্রণোদনা পড়শি দেশের হিন্দি চ্যানেল থেকে প্রাপ্ত বলে মনে করা যায়। পাশাপাশি এসএমএসের নামে ইংরেজি হরফে বাংলা বার্তা লেখার ধুম। এর অনেক বিরোধিতা ও নিন্দা সত্ত্বেও প্রবণতাটি অব্যাহত রয়েছে। অতীতে ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে তদানীন্তন শাসক মহল আরবি হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ব্যর্থ প্রয়াস পেয়েছিল। আজকের বাংলাদেশে ইংরেজি হরফে বাংলা লিখে হরদম মায়ের ভাষার অবমাননা এবং রাষ্ট্রভাষার অমর্যাদা করা হচ্ছে। আমরা এসব কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব?

ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী এই ফেব্রুয়ারি। মাসটির পয়লা দিনেই সুদূর আমেরিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পঞ্চাশের দশকের খ্যাতিমান এক কবি আবদুর রশীদ খান। একই দশকে আবির্ভূত আরেক কবি হলেন আল মাহমুদ, যিনি অনেক বেশি খ্যাতিমান ও আলোচিত। তিনিও চিরবিদায় নিলেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। আল মাহমুদ শুধু নিপীড়িত ভাষাসৈনিকই নন, মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদানের ঐতিহাসিক সংগ্রামের ওপর তার লেখা ছড়া ও কবিতা অবিস্মরণীয়। এমন একটি কবিতা আমরা এখানে তুলে ধরছি, যা ছোটদের পাঠ্যবইয়ে থাকলেও সব বয়সী মানুষের পঠিতব্য বৈকি। নাম ‘একুশের কবিতা’-

‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত;/বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়? বরকতের রক্ত।/হাজার যুগের সূর্য তাপে জ্বলবে, এমন লাল যে,/সেই লোহিতেই লাল হয়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে!/ প্রভাতফেরির মিছিল যাবে, ছড়াও ফুলের বন্যা/ বিষাদনীতি গাইছে পথে তিতুমীরের কন্যা।/ চিনতে নাকি সোনার ছেলে, ক্ষুদিরামকে চিনতে? রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে মুক্তবাতাস কিনতে।/ পাহাড়তলীর মরণচূড়ায় ঝাঁপ দিল যে অগ্নি,/ ফেব্রুয়ারির শোকের বসন পরলো তারই ভগ্নি।/ প্রভাতফেরি, প্রভাতফেরি, আমায় নেবে সঙ্গে?/ বাংলা আমার বচন, আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top