২০০৩ সালের পর প্রথমবারের ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা আল আকসার বাবুর রহমাহতে (রহমতের দরজা) প্রবেশ করে জুমার নামায আদায় করেছে। গত শুক্রবার জেরুসালেমের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ মোহাম্মদ হোসাইনের নেতৃত্বে শত শত ফিলিস্তিনি সেখানে প্রবেশ করে।
২০০৩ সাল থেকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ সেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ এবং জুমার নামায আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। ফলে ১৬ বছর ধরে এই এলাকার বাইরেই জুমা আদায় করতে তারা বাধ্য হতো।
ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, ফিলিস্তিনিরা সেখানে প্রবেশ করার পর তারা ধর্ম ও জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা সেখানে ফিলিস্তিনের পতাকাও ওড়ায়।
গত মঙ্গলবার আল আকসা মসজিদের ভিতরেই ইসরাইলি বাহিনী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের অনেকে আহত হয় এবং অনেক মুসল্লি ইসরাইলি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে আবারো উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ইসরাইলি পুলিশ সাময়িক সময়ের জন্য আল আকসা মসজিদের আল রহমাহ গেটটি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পরের দিন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফিলিস্তিনিরা।
জেরুসালেমকে মুসলমানরা তাদের তৃতীয় পবিত্রতম জায়গা হিসেবে মনে করে থাকে। অন্যদিকে ইহুদিরা বিশ্বাস করে, এখানে প্রাচীনকালে দুইটি ইহুদি উপসনালয় ছিল।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিই দখল করে নেয়। তারা এটিকে ইহুদি রাষ্ট্রটির রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ^ কখনোই তাদের সে দাবিতে কান দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তর করেন।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ