ভারত-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মির রাজ্য এখনো শান্ত হয়নি। আত্মঘাতী হামলায় পুলাওয়ামায় অন্তত ৪০ ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর এখনো অস্থির রয়েছে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাটি। পাকিস্তান ও ভারত উভয় পক্ষই হুমকি পাল্টা হুমকির মুখে ভারত নতুন করে শক্তি বৃদ্ধি করেছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মিরে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রেখেছে ভারত।
ভারত সরকার তড়িঘড়ি আরো অতিরিক্ত ১০০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী নিয়োগ করেছে ওই রাজ্যে। শুক্রবার রাতে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটে। এর পর গ্রেফতার করা হয় স্বাধীনতাকামী নেতা ইয়াসিন মালিককে। জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পরই রাজধানী থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করে শ্রীনগরে সেনা পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
ঘটনাচক্রে শ্রীনগরকে কেন্দ্র করেই আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ তাদের আগামী কয়েক দিনের গেমপ্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই উপত্যকায় সেনা মোতায়েন ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হচ্ছে।
পুলওয়ামায় ভয়াবহ হামলার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পরিবেশ থমথমে। উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমাগত।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে আর্টিকল ৩৫-এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা আগামী সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই গ্রেফতার করা হলো ইয়াসিন মালিককে। ১৯৫৪ সালে ভারতীয় সংবিধানের আওতায় আসা এই আর্টিকলে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে ইয়াসিন মালিক, সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, সাবির শাহ এবং সালিম গিলানির মতো স্বাধীনতাকামী নেতাদের যে নিরাপত্তা দেয়া হতো, তা পুলওয়ামা হামলার পর তুলে নেয়া হয়।