২৮ তারিখে নিউজিল্যান্ডে শুরু হচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে গা-গরমের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল দুই দলই। ম্যাচের প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ। লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে দিন শেষে ৪১১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন এগারো জন ব্যাট করেছেন। তাদের মধ্যে শেষে মাঠে আসা খালেদ আহমদ ছাড়া সবাই রান পেয়েছেন। অন্তত দুই ঘরের দেখা পেয়েছেন সবাই। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের এই হাওয়া মূল ম্যাচে কতটুকু থাকবে তা নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় টাইগার শিবির।
আউট হওয়া ছাড়াই মাঠ ছেড়ে গেছেন চারজন লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
তামিমের সাথে আজ ওপেনিং করতে নেমেছিলেন শাদমান ইসলাম। ওপেনিং জুটিতে শত রান পূর্ণ করার পর তামিম ইকবাল আউট হন ৪৫ রান করে। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের মাধ্যমে এ রান করেন তিনি। এর পরপরই অবশ্য শাদমান আউট হয়ে যান ৬৭ রানে। তিনি এ করেন নয়টি চারের সাহায্যে। এরপর মুমিনুল ইসলাম ২০ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপর মিডল অর্ডারের লিটন দাস (৬২), সৌম্য সরকার (৪১), মাহমুদুল্লাহ (৫৯) ও মেহেদি হাসান (৫১) স্বেচ্ছায় উইকেট ছেড়ে যান। এরপর বোলারদের মধ্যে তাজুল ১৪, নাঈম হাসান ১২ এবং আবু জায়েদ ২৩ রান করেন। খালেদ আহমদ শূন্য রানে ক্রিজে আছেন। এখনো ব্যাট করার অপেক্ষায় আছেন মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, এবাদত হোসাইন ও মোস্তাফিজুর রহমান। প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় বাংলাদেশ ১৫ জনের দল নিয়ে খেলতে নেমেছে। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্ল্যাক কোর্বান দুটি উইকেট লাভ করেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি হ্যামিল্টনে দুই দেশের মধ্যে প্রথম টেস্ট শুরু হবে। এর আগে এটিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ। এছাড়া ৮ মার্চ ওয়েলিংটনে এবং ১৬ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের সদস্যরা হচ্ছেন : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহীম, মেহেদি হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জাভেদ, শাদমান ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাইম হাসান, ইবাদত হোসেন, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। তিন মাচের কোনোটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি টাইগাররা। ফলে টেস্টে জয় পাওয়ার যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি চাপ রয়েছে কন্ডিশনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়ারও।
কারণ যেখানে প্রস্তুতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই লিংকনের গড় তাপমাত্রা এখন ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এখানের নিয়মিত তাপমাত্রা। আর বাতাসে আর্দ্রতা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা তুলনামূলক বেশি।
কেবল লিংকনেই নয়, পুরো নিউজিল্যান্ডের বর্তমান আবহাওয়াই এমন। আগে থেকে পরিচয় না থাকলে উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের এখানে খেলা মানে অথৈ জলে হাবুডুবু খাওয়ার মতো! নতুন বোলাররা তাই বলছেন, ‘এখানকার বাতাস অনেক ভারী। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা এটা নিয়েই কাজ করব। কারণ এখানে বাতাসের জন্য বল এদিক-ওদিক চলে যাচ্ছে। সুতরাং প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতাটা আমাদের জন্য অনেক জরুরি।