পাকিস্তান সুপার লিগে শুক্রবার দিনের প্রথম খেলায় বড় টার্গেট তাড়া করে জয় পেয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ২০১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে দলটি ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ২ বল বাকি থাকতেই।
মুলতান সুলতান্সের করা ২০০ রান টপকাতে নেমে ওপেনার ফখর জামানের ব্যাটে ঝড়ো সূচনা করে লাহোর কালান্দার্স। ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বামহাতি এই ওপেনার। ৭ চার আর ৩ ছ্ক্কা ছিলো তার ইনিংসে। তবে মাঝখানে রানের গতি কিছুটা কমে যাওযায় শেষ দিকে চ্যালেঞ্জে পড়ে লাহোর। কিন্তু ক্রিজে যখন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি, তখন জয় ছাড়া আর কিছু চিন্তা করার সুযোগ কোথায়!
শেষ ৩০ বলে লাহোরের দরকার ছিলো ৭০ রান। একের পর এক চার ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ জয়ের কাছে নিয়ে যান ভিলিয়ার্স। বেশ কয়েকবারই বল গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন। অফ সাইড, অন সাইড, যেখানেই বল পেয়েছেন সোজা মাঠের বাইরে। এমনিক রির্ভার্স সুইপের ছ্ক্কা মেরেছেন তিনি। ভিলিয়ার্সকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তারই দেশী ডেভিড ওয়াইজ। তিনিও ছিলেন মারদাঙ্গা মেজাজে।
তবে এত কিছুর পরও ম্যাচটি জমে উঠেছিল শেষ ওভারের নাটকীয়তায়। শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। ক্রিজে দুই হাড হিটার; কিন্তু তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার ডেনিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। দারুণ কৌশলি বোলিং করে প্রথম ৫ বলে বারবারই বিভ্রান্ত করেছেন ব্যাটসম্যানদের, হয়নি কোন বাউন্ডারি। এবিডি ভিলিয়ার্স ও ওয়াইজ দুজনেই সংগ্রাম করেছেন ওই ওভার থেকে রান তুলতে। যার ফলে শেষ বলে দরকার ছিলো ৩ রান। মুলতান তখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে, কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানের মিডলস্ট্যাম্পের ওপরের বলটিতে সোজা ব্যাট চালিয়ে উড়িয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন ডেভিড ওয়াইজ। ম্যাচ জিতে নেয় লাহোর কালান্দার্স। ভিলিয়ার্স অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ৫২ রান করে। ওয়াইজ করেছেন ২০ বলে ৪৫ রান। আফ্রিদিবিহীন এই ম্যাচে মুলতানের বোলিংলাইন আপ সুবিধা করতে পারেনি ফখর আর ভিলিয়ার্সের সামনে।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০০ রান করে শোয়েব মালিকের মুলতান। দুই ওপেনার ওমর সাদিক আর জেমস ভিন্সের ১৩৫ রানের জুটি দলটিকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। ভিন্স ৪১ বলে ৮৪ ও সাদিক ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। তবে মিডল অর্ডারে কেউ ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে না পারায় দলটির সংগ্রহ দুইশ পার হয়নি। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও যে তারা আজ আফ্রিদির অভাব অনুভব করেছে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ম্যাচে আফ্রিদিক একাদশের বাইরে রেখেছিলে মুলতানস কর্তৃপক্ষ।