শুটিং বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুটারদের ভিসা না দেওয়ায় বড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে ভারত। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এর পর অলিম্পিকের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের কোনও ইভেন্ট ভারত পাবে কিনা তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
ভারত-পাকিস্তান অশান্তির ছাপ সব সময়ই সবার আগে পড়েছে ক্রিকেটে। এ বার সামনে বিশ্বকাপ। প্রশ্ন উঠছে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলা নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন ভারতের খেলা উচিৎ নয়। কিন্তু একটা সূত্রের খবর, ভারত না খেললে ফল যেতে পারে ভারতের বিরুদ্ধেই। নেমে আসতে পারে বড় শাস্তি। পাকিস্তানকে একঘরে করতে গিয়ে ভারতই না একঘরে হয়ে পড়ে। এরকম সংশয়ও দেখা দিয়েছে।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করার ডাকটা প্রথম দিয়েছেন সাবেক স্পিনার হরভজন সিং। এরপর আরো দু’একজন এতে সায় দিয়েছেন। ভিভিএস লক্ষণ, সৌরভ গাঙ্গুলিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচে খেলার বিরোধিতাই করেছেন।
সাধারণ সমর্থকদেরও অনেকে বলছেন কাশ্মিরে আত্মঘাতি হামলায় ‘পাকিস্তানের মদদের’ প্রতিবাদে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগ পর্বের ম্যাচটি বয়কট করতে। যদিও কেউ কেউ আবার পাল্টা যুক্তিও তুলছেন। বোর্ডের এক কর্মকর্তা দুই দিন আগে বলেছেন, যার ম্যাচ বয়কট করতে বলেছেন তারা কি ভেবে দেখেছেন সেমিফাইনাল বা ফাইনালে পাকিস্তানের সাথে খেলা পড়লে আমরা কী করবো। সেটিও কি বয়কট করবো?
সাবেক তারকা ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও আছেন এই দলে। তিনিও মনে করেন ম্যাচ বয়কট কোন সমাধান নয়, এতে বরং পাকিস্তান দুটি পয়েন্ট পেয়ে যাবে। তার চেয়ে মাঠের লড়াইয়ে তাদের হারিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। গাভাস্কার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, মাঠের খেলায় পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারলেই সেটি হবে লাভজনক। এই লিটল মাস্টার বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা প্রতিবারই তাদের হারিয়েছি। আবারো সেটি করে দুটি পয়েন্ট বাগিয়ে নেয়া উচিত। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তারা যাতে এই রেকর্ড ভেঙে অগ্রসর হতে না পারে।’
ভারতের সরকারি সেই সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেললে তাদের ওয়াকওভার দেয়া হবে। এর জবাবে আইসিসি ভারতের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ঠিক হবে না। হাতে এখনও অনেকটা সময় রয়েছে।’
ভারতের কমিটি অব অ্যাপমিনিস্ট্রেটরস(সিওএ) প্রদান বিনোদ রায় বলেছেন, খেলা হবে ১৬ জুন। বিষয়টি নিয়ে ভাবার অনেক সময় আছে। তাই তারা তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উদ্বেগ নিয়ে আইসিসিকে তারা লিখিতভাবে জানাবেন বলেও জানান তিনি।