শুক্রবার সকাল ১০ টায় সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে শুরু হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে এ গনশুনানীর আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গনশুনানীতে অংশ নিবেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা প্রার্থী ও ভুক্তভোগিরা।
গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করবেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়া সভাপতি মন্ডলির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিষ্টার মঈনুল হক, সাকা ম আনিসুর রহমান খান,অধ্যাপক আবু সাঈদ খান,প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারি, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারী গণশুনানী করার কথা থাকলেও গত মঙ্গলবার বিকালে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তা দু’দিন এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবারের বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, ঐক্যফ্রন্ট যেন কোথাও গণশুনানী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে না পারে সেই জন্য সরকার রাজধানীর সকল হল রুমগুলো আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন। পুলিশের ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোন হলরুম ভাড়া দিচ্ছেনা বলেও তিনি অভিখযোগ করেছিলেন। তাই ২২ ফেব্রুআরী আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পাওয়ায় কর্মসূচী দু’দিন এগিয়ে শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান।
এই গণশুনানি থেকে কী অর্জন করবে ফ্রন্ট জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। একাদশ নির্বাচনে কী ঘটেছিলো, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা জনগনের সামনে তুলে ধরবেন’।
গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো ছাড়া অন্যকোন দল অংশগ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো ছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ সরকারের বাহিরে থাকা যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিযেছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে তাদের এই গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি পূর্বেও একাধিকবার বলেছি জামায়াত নামে কোন নিবন্ধীত দল নেই। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলগুলো ছাড়া যারাই ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করেছেন তারা বিএনপির প্রার্থী।