মিয়ানমারের রাখাইন প্রাদেশিক পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর এক প্রতিনিধি অভিযোগ করেছে যে, আরাকান আর্মি (এএ), আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি শহর দখলের পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি রাখাইনে আরাকান আর্মির যে হামলা শুরু হয়েছে তার বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কা করছেন তিনি।
গত বুধবার প্রাদেশিক ওই সেনা প্রতিনিধি পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন। পার্লামেন্টে উত্থাপিত ওই প্রস্তাবনায় রাখাইনের মানুষের প্রতি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবনায় দাবি করা হয়, মিয়ানমার সেনাবহিনী সবসময় সাধারণ মানুষের জীবন ‘সুরক্ষিত’ রাখার কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া সব জাতি ও ধর্মের মানুষের ‘অধিকার’ রক্ষায় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর বলে দাবি করা হয়েছে। রাখাইনের নাগরিকদের মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর হামলা থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সেনাবাহিনী।
রাখাইন প্রাদেশিক পরিষদের সেনা প্রতিনিধি মেজর থেট ও মং বুধবার পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে চলাকালে বলেন, আরাকান আর্মি ‘আরাকান ড্রিম-২০২০’ মিশনের আওতায় আগামী বছরের মধ্যে রাখাইনের পেলেতোয়া, কিয়াকতো, মারুক-উ শহর দখল করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে মায়ু অঞ্চলের বুথিডং ও মংগদু শহরে হামলা চালিয়ে তা দখল করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তোলেন। অবশ্য আরাকানি আর্মির কমান্ডার সেনাবাহিনীর তোলা এমন অভিযোগ আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছেন।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র উ খিনে থুখা ওই সেনা প্রতিনিধির এমন প্রস্তাবনাকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য সেনাবাহিনীকে গণভোট আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন। পার্লামেন্টকে ব্যবহার করে রাখাইনের জনগণের ওপর প্রভাব খাটানোর নিন্দা করেন আরাকান আর্মির ওই মুখপাত্র।