রিয়া ও রিফাত দম্পতির বন্ধু আল-আকসার সাজিদ বলেন, “আগুন লাগার পর রিফাতের সঙ্গে কথা হয় তার। রিয়াকে নামাতে না পারায় নিজেও নামেনি রিফাত।”
চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের ‘ওয়াহিদ ম্যানশন’-এর তৃতীয় তলায় অধিবাসী ছিলেন রিয়া ও রিফাত দম্পতি। স্ত্রী অন্তস্বত্তা হওয়ায় তিনতলা থেকে নামাতে পারেননি বলে নিজেও নামেননি রিফাত। অনাগত সন্তানসহ দু’জনেরই হয়েছে এক মর্মান্তিক মৃত্যু।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে মরদেহ শনাক্ত করতে না পেরে অপেক্ষারত স্বজনদের সূত্রে জানা যায় এ তথ্য।
রিয়া ও রিফাত দম্পতির বন্ধু আল-আকসার সাজিদ বলেন, “আগুন লাগার পর রিফাতের পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। কিন্তু রিয়াকে নামাতে পারছিলো না, এজন্য নিজেও নামেনি।” তিনি আরো জানান, “মাত্র দুই বছর আগেই সংসার জীবন শুরু করেন তারা। এদিকে এ পরিস্থিতিতে রিয়া-রিফাত দম্পতি পরিবারের সদস্যদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তিনিই এসেছেন, তবে চেহারা দেখে মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের।”
এর আগে সকালে আগুন নেভানোর পর তল্লাশি চালিয়ে ৭০টি লাশ উদ্ধারের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।রেডক্রসের প্রতিনিধিরাও মরদেহ শনাক্তকরণে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।