পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।
নিহতদের লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। প্রিয়জনের লাশ দেখতে মর্গের সামনে ভিড় করছেন স্বজনরা। মর্গের সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে লাশগুলো। লাশের একটি তালিকা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্গের বাইরে দেয়ালে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, উদ্ধার করা বেশ কিছু লাশ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় নেই। যেসব লাশ পুড়ে গেছে কিন্তু চেহারা দেখে শনাক্ত করা যায় তাদের ময়নাতদন্ত করে আজকেই স্বজনদের দেওয়া হবে। তবে, যাদের লাশ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে শনাক্ত করার জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে।
লাশ বহনকারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পুড়ে যাওয়া লাশগুলো এতটাই বীভৎস ও ক্ষতিগ্রস্ত যে, স্বাভাবিকভাবে তাদের চেনা কঠিন।
হাসপাতাল ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, নিহতদের লাশ সনাক্তের জন্য প্রত্যেকটি লাশের জন্য আলাদা আলাদা নাম্বারিং করা হয়েছে।
যারা এই এলাকায় বসবাস করতেন বা বিভিন্ন কাজে যারা এসেছিলেন তাদের খোঁজ না পেয়ে হাসপাতালে ভীড় করছেন স্বজনরা। খুঁজতে এসেছে তার প্রিয়জনকে। তবে কেউ নিশ্চিত হতে পারছেন না তার প্রিয়জনের মরদেহ এখানে আছে কিনা। তবুও যেন সান্ত্বনা খুঁজে বেড়ানো। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ।
সেখানে স্বজন হারানোদের ভীড় বাড়ছে। তারা নাম দেখে জানতে চেষ্টা করছেন তাদের স্বজনদের কেউ রয়েছে কিনা। এছাড়া লাশ দেখেও সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে মৃতদের অধিকাংশের চেহারাই এমনভাবে পুড়ে গেছে যে কোনও ভাবে তা থেকে বোঝার উপায় নেই, কার লাশ কোনটি।