অভিমান আর কিছুটা কলহ ছাড়া নাকি দাম্পত্য জীবনটা পরিপূর্ণ হয় না। পূর্ণতা পায়না মনের আবেগ আর ভালোবাসাও। কিন্তু একটি নিছক দাম্পত্য বা পারিবারিক কলহের ফলাফল কতটা মারাত্মক হতে পারে? স্বামী সাজু মিয়া (২২) আর স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের (১৮) সংসারে চলছিল পারিবারিক কলহ। এক কথায়; দুই কথায়; কলহ চরমে পৌছালে স্বামী ছুরিকাঘাত করেন স্ত্রী শাহনাজকে এবং স্ত্রীও ছুরিকাঘাত করেন স্বামী সাজুকে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন স্ত্রী শাহনাজ পারভীন। অপরদিকে স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী সাজু মিয়া। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ শাহানাজ পারভীন (১৮) উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের সাজু মিয়ার স্ত্রী ও পার্বতীপুর উপজেলার বৈগ্রামের সাহিদুল সরদারের মেয়ে। গুরুতর আহত স্বামী সাজু মিয়া (২২) কৃষ্ণপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূ শাহানাজ পারভীনের পিতা সাহিদুল সরদার বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রামবাসী ও ফুলবাড়ী থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সাজু মিয়া ও স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের মধ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। একে-অপরের ছুরিকাঘাতে স্বামী সাজু মিয়া ও স্ত্রী শাহানাজ পারভীন উভয়েই গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজাউল করিম গৃহবধূ শাহানাজ পারভীনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, গৃহবধূ শাহানাজ পারভীনের মৃত্যুর খবর শুনে, স্বামী সাজু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত শাহানাজ পারভীনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং গুরুতর আহত স্বামী সাজু মিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।