জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে একুশে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশিষ্টজনদের হাতে স্বর্ণ পদকের পাশাপাশি সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় পদক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
এ বছরের একুশে পদক বিজয়ীরা হচ্ছেন : ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য একুশে পদক পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।
পরলোকগত পপ শিল্পী আজম খান (মরণোত্তর) ও নজরুল সংগীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সাথে এবার সংগীত বিভাগে একুশে পদক পেয়েছেন গায়ক সুবীর নন্দী। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফার সাথে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পেয়েছেন অভিনয়ের জন্য।
দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলার জন্য একুশে পদক পেয়েছেন।
গবেষণায় বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় প্রণব কুমার বড়ুয়া একুশে পদক পেয়েছেন।
এ ছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পেয়েছেন।
প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র পেয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।