নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হয়ে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮৮ রান হেরেছে মাশরাফি বাহিনী। প্রথম ব্যাট করে নিউজল্যান্ডের দেয়া ৩৩০ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ২৪২ রানে। ম্যাচসেরা হন ৬ উইকেট নেয়া টিম সাউদি।
বুধবার ডুনেডিনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় শুরু হওয়া সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে রস টেইলর, হেনরি নিকোলস ও টম লাথাম ফিফটি হাঁকান। ৩৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭ ওভার ২ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪২ রান। দলের হয়ে সাব্বির রহমান সর্বোচ্চ ১০২ রান সংগ্রহ করেন।
পাহাড় সমলক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে ৪০ রানেই ৪ উইকেট নেই হয়ে যায় টাইগারদের। ওপেনার তামিম ইকবাল গত দুই ম্যাচেই ধারাবাহিকভাবে করেন ৫ রান করলেও, শেষ ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই সাজ ঘরে ফেরেন এই ওপেনার। আরেক ওপেনার লিটন দাস তিনি নিজের পূর্বের দুই ম্যাচের ধারাবাহিক ক্রমান্বয় ঠিক রেখে আজও আউট হন ১ রানে! ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে নিজের ধৈর্য্যচ্যুতি ও দায়িত্বহীনতার প্রকাশ ঘটান সৌম্য সরকার। টিম সাউদির বলে বোল্ড আউট হয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। মাঠে নেমে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ১৭ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ সাজ ঘরে ফেরেন ১৬ রানে।
সাব্বির রহমান চেষ্টা করেছেন একাই দলকে টেনে নিতে। তাকে সঙ্গ দেওয়া সাইফুদ্দিন ৬৩ বল খেলে ৪টি বাউন্ডারির সাহায়্যে ৪৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। মাঠে নেমে অধিনায়ক মাশরাফি ৩ বলে দুই রান করে টিম সাউদির শিকার হন। মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৪ বলে সাত বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ রান করে সাউদির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজ ঘরে পেরেন।। রুবেল হোসেন ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১১০ বলে বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯২ রান সংগ্রহ করে সাউদির বল ও ক্যাচের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মুস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন শূন্য রানে।
স্বাগতিকদের হয়ে টিম সাউদি ৯ ওভার ২ বলে ৬৫ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট দুটি ও গ্র্যান্ডহোম একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়া টম লাথামের নেতেৃত্বে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় স্কোর দাঁড় করায় কিউইরা। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মর্টিন গপটিল শেষ ম্যাচে ২৯ রান করে সাইফুদ্দিনের শিকার হন। আরেক ওপেনার কলিন মুনরোকে ৮ রানে ফেরান মাশরাফি।
ওয়ানডাউনে হেনরি নিকোলস খেলেন ৭৪ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ রানের সাবলিল একটি ইনিংস। এই ম্যাচের আগে রস টেইলর নিউজল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে প্রয়োজন ছিলো ৫১ রান। তিনি তার রেকর্ড সম্পন্ন করে ৮২ বলে ৬৯ রানের এক নান্দনিক ইনিংস খেলেন। টম লাথামে ৫১ বলে ৫৯ রান। নিশামের ঝড়ো ২৪ বলে ৩৭ রান। গ্র্যান্ডহোমের অপরাজিত ১৫ বলে ৩৭ রান ও স্যান্টনারের ৬ বলে ১৬ রানের সুবাদে ৩৩০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে খরুচে বোলার। ১০ ওভার বল করে ৯৩ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। মাশরাফি, রুবেল, সাইফুদ্দিন ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিুজর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলাস, কলিন মুনরো, রস টেলর, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক) জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, লকি ফার্গুসন, টিম সৌদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।