নতুনভাবে আরো তিনটি ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার কারণে লুটের পথকে আরো প্রসারিত করবে বলে মনে করে বিএনপি। সেইসাথে
বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ১২ ঘন্টা গ্যাস বন্ধের ঘোষণাকে ‘নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন’ মন্তব্য করে এর নিন্দা জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, মহানগরী ঢাকায় গ্যাস সরবারহ বন্ধ আছে। এই বন্ধ আজকেই শুধু নয়, আরো কয়েকদিন এই ধরনের বন্ধ চলছে। বলা হচ্ছে প্রায় অর্ধেক মহানগরীতে গ্যাস সরবারহ আজকে বন্ধ থাকবে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে ঢাকা মহানগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনেরই প্রতিফলন বলে আমরা মনে করি। এক ব্যক্তির শাসনের হুকুমের শাসন জারি আছে বলেই জনগণের চাহিদাগুলোকে পদদলিত করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, ‘এই যে উঁচু তলা বিল্ডিং, ঢাকাতে অন্যকোনো অপশন নেই। তাহলে কী করে তাদের চুলা জ্বলবে? সুষ্ঠু ভোটের সরকার থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই মহানগরীতে উন্নয়ন কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতো। কিন্তু এই সরকারের তো কোনো ভোটের দরকারই নেই। এই ধরনের সরকার কোনোদিনই জনদুর্ভোগকে গুরুত্ব দেবে না।’
উল্লেখ্য, মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে মঙ্গলবার গ্যাস পাবেন না ঢাকার বড় একটি অংশের বাসিন্দারা। এ কাজের
কারণে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীর অর্ধেক অংশে গ্যাস সরবারহ বন্ধ রাখার ঘোষণা হয়েছে।
আরো তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘ব্যাংক লুটের কারনে দেশের ব্যাংকগুলোর যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন
আবারো নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন ব্যাংক লুটের পথকে আরো প্রসারিত করলো। বর্তমানে অনুমোদনকৃত তিনটি ব্যাংকসহ
দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিংবা স্বজনরা। যখন পূর্বের ঢালাওভাবে অনুমোদিত
ব্যাংকগুলো ধসে পড়ছে তখন আবারো তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনে এটি সুস্পষ্ট যে, জনগণ ও দেশের সর্বশেষ সঞ্চয়টুকু শোষণ
করতেই মিড নাইট সরকারের খয়ের খাঁদের নতুন তিনটি ব্যাংক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। হয়তোবা এরাই নানাভাবে শাসকগোষ্ঠীকে উপকৃত করেছে অবৈধ কর্মকাণ্ডে, সেজন্য তাদেরকে এই ব্যাংকগুলো দেয়া হয়েছে।’
‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে সড়ক কমিটি গঠন হাস্যকর’
রিজভী বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে আহবায়ক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা
রীতিমতো হাস্যকর। এই শ্রমিক নেতার কারণে যতো প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। ঘটনাটাকে এইরকম দাঁড়াচ্ছে না যে, চোরের কাছে চুরির বিচার দেয়া। এরকমই তো দাঁড়াচ্ছে। যখনই সড়কের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে তখনই এই শাজাহান খানরাই বাধার সৃষ্টি করেছে। মূলত সড়কে দুর্ঘটনা ও মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য এই নেতাই অনেকাংশে দায়ী। কাজেই তাকে (শাজাহান খান) আহবায়ক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা জাতির সাথে তামাশা মাত্র। মিডনাইট সরকারের এটি জনগণের সাথে আরেকটি শ্রেষ্ঠ প্রহসন। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কত যে পুনরাবৃত্তি হবে তা বলাই বাহুল্য।’