সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দেয় ন্যাটো : এরদোগান

আঙ্কারা অস্ত্র কিনতে চাইলে তা উপেক্ষা করে ন্যাটো। অথচ সন্ত্রাসীদের সমর্থনে তারা হাজার হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিচ্ছে। গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বর্দুর অঞ্চলে এক নির্বাচনীয় প্রচারণায় এ অভিযোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

ন্যাটোর প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ন্যাটো কোন ধরনের জোট। ইরাকের মাধ্যমে ন্যাটো সন্ত্রাসীদের ২৩ হাজার ট্রাকভর্তি অস্ত্র দিয়েছে। কিন্তু তুরস্ক যখন তাদের কাছে অস্ত্র চায়, তখন অর্থের বিনিময়েও তা দিতে রাজি হয় না ন্যাটো। অথচ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত সিরিয়ার সাথে তুরস্কের ৯১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে তুরস্ক। এসময় অবশ্য এরদোগান অস্ত্রদাতা দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

ওই সমাবেশে এরদোগান এরদোগান আশা প্রকাশ করেন, তুরস্ক শীঘ্রই সিরিয়ার মানবিজ অঞ্চল ‘সন্ত্রাসীদের’ কাছ থেকে দখলমুক্ত করে স্থানীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিবেন।

২০১৬ সাল থেকে মানবিজ কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)-এর মিলিশিয়া বাহিনী মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-এর দখলে রয়েছে।

তুরস্কে নিষিদ্ধ সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)- এর সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশটি ওয়াইপিজিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। পিকেকে তুরস্কে দীর্ঘ দিন ধরে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল, যার ফলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়।

তুরস্ক সিরিয়া থেকে এ গ্রুপটিকে উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলাকালে লোকাল এ গ্রুপটির সহায়তা নিয়েছিল। ফলে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময় এ দলটি ওয়াশিংটনের সহায়তা লাভ করে। এ নিয়ে তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দফা আলোচনাও হয়।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ইস্যুতে শুরু হওয়া আন্দোলন এক পর্যায়ে গৃহযুদ্ধে রূপ লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে এ যুদ্ধে ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন পরে এ যুদ্ধ মোটামুটি শেষ হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসী হামলা এখনো চলছে।

এ অবস্থায় হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে তাদের দুই হাজার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তারা সেখানে কুর্দি বাহিনীকে পরিচালনা করতো। এ কারণে অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র প্রদানের অভিযোগ করে আসছিল তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ অভিযোগ সব সময় অস্বীকার করে আসলেও হঠাৎ করেই সিরিয়া থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সূত্র : আলজাজিরা

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top