ময়মনসিংহে শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার

Muktagaha-news

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নরকোনা মধ্যপাড়া গ্রামে সরিষা ক্ষেত থেকে মো. রিফাত (১৩) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে হত্যাকারীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রিফাত উপজেলার মির্জাকান্দা গ্রামের দিনমজুর মফিজুল ইসলামের ছেলে এবং কাতলসা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে মির্জাকান্দা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ভ্যান নিয়ে বের হয় রিফাত। পথে মোগলটুলা বাজারে মায়ের সঙ্গে দেখা করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে চেচুয়া বাজারের দিকে যায়। কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ২৯ জানুয়ারি মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বড় ভাই আরিফ হোসেন।

রোববার রাতে রিফাতের মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে মুক্তাগাছার ভাবকীর মোড় এলাকা থেকে মিরাজ (১৮) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে সরিষা ক্ষেত থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় বস্তাবন্দি রিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রিফাতকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দিয়ে ভ্যানটি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। হত্যাকাণ্ডে মিরাজের সঙ্গে মনির নামে আরও একজন জড়িত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধারের সময় রিফাতের মা-বাবা ও স্বজনেরা আহাজারি করেন। তার বড় ভাই আরিফ হোসেন ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার ভাইয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। নয়তো আমার ভাইকে জীবিত এনে দিতে হবে।”

মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মনির নামের আরেকজনকে ধরতে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Share this post

scroll to top