ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালানোর দায়িত্ব স্বীকার করেছে। গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি গতকাল (রোববার) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ইসরাইলের হাদেরা শহরে অবস্থিত ওরট রবিন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে একটি ‘ফিলিস্তিন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
হামলাটি সাফল্যের সঙ্গে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করেছে বলে তিনি জানান। সারি বলেন, ইয়েমেনের জনগণ, তাদের নেতৃত্ব ও সশস্ত্র বাহিনী নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি তাদের ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে যাবে।
ইয়েমেনের এই সেনা মুখপাত্র আবারও জোর দিয়ে বলেন, দারিদ্র-পীড়িত ও কঠোর অবরোধের শিকার গাজা উপত্যকায় যতদিন ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা চলবে ততদিন এই উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থনে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইল-বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মাদ আলী আল-হুথি সৌদি আরবকে সীমান্ত আগ্রাসনের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে ইয়েমেনের একজন বেসামরিক ব্যক্তি ও আফ্রিকার একজন শরণার্থী নিহত হওয়ার পর তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। #