লক্ষীপুরের পলাতক মেম্বারের লাশ ময়মনসিংহে উদ্ধার

Arif

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় রাস্তার পাশের ধান ক্ষেত থেকে আরিফুর রহমান (৪৬) নামে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরিফুর লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের কেরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন কেরোয়া ইউনিয়নের দফাদার সহিদ উল্লাহ।

তারাকান্দা থানার ওসি টিপু সুলতান জানান, বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে তারাকান্দার মধুপুর-জয়বাংলা বাজার রোডের পিঠাসূতা এলাকার মেসার্স জিল্লুর অটো রাইসমিল সংলগ্ন ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এদিকে লাশ শনাক্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)কে অবহিত করা হলে পিবিআই এর কর্মকর্তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে।
পিবিআই এর এসআই অভিজিৎ জানান, উদ্ধারকৃত আরিফুর রহমানের বাড়ি রায়পুরের লামছড়ি এলাকায়। তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নের দফাদার সহিদ উল্লাহ ময়মনসিংহ লাইভকে জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপনে যান। সেখানে নতুন করে ব্যবসা পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কেরোয়া ইউনিয়নের জোড়পোলে আরিফুর রহমানের রড, সিমেন্ট, ইট ও বালুর দোকান রয়েছে। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি তার দোকান থেকে মালামাল না কেনায় বেল্লাল হোসেন পাটওয়ারী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে তিনি চড়-থাপ্পড়ের পর ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেন। ওই ঘটনায় আরিফুরের বিরুদ্ধে থানায় তখন একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই বৃদ্ধ।

রায়পুর থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন ভূঞা ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, এলাকায় তাকে সবাই আরিফ ডাকাত হিসেবে চিনে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ দুটি মামলা রয়েছে।

Share this post

scroll to top